The body of a woman journalist was recovered
নারী সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার

নারী সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন ::  রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে সোহানা পারভীন (৩৭) নামের এক নারী সাংবাদিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার বিকেল চারটার দিকে ঘরের দরজা ভেঙে হাজারীবাগ থানার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে বলেন, গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সোহানার লাশ পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে কারণ সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ওসি বলেন, সোহানা শেরেবাংলা সড়কের একটি বাসায় থাকতেন। তাঁর ছোট ভাই একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি হাজারীবাগ এলাকাতেই বন্ধুদের সঙ্গে থাকেন। তবে কখনো কখনো তিনি বোনের বাসাতে এসে থাকতেন।

সর্বশেষ সোহানা অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের কর্মী ছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর বন্ধু রোকসানা মিলি। তিনি উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে বলেন, সোহানা বাংলা ট্রিবিউন ছেড়েছেন বেশ কয়েক মাস হয়ে গেছে। তিনি নতুন চাকরি খুঁজছিলেন। তাঁর মা–বাবা থাকেন যশোরে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলা ট্রিবিউনের একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক প্রথম আলোকে জানান, সোহানা দুই বছর আগে এই প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র সাব–এডিটর হিসেবে কাজ করতেন।

 

সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সোহানার সঙ্গে কথা হয়েছিল জানিয়ে রোকসানা মিলি বলেন, স্বাভাবিকভাবেই তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল। অস্বাভাবিক কিছু মনে হয়নি। পরে আর তাঁর সঙ্গে কথা হয়নি। অন্য এক বন্ধু গতকাল রাত থেকে সোহানার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলেন। যোগাযোগ করতে না পেরে আজ বেলা আড়াইটার দিকে ওই বন্ধু বাসায় এসে দেখেন, ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। পরে দরজা ভেঙে দেখা যায়, সোহানা পারভীন বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলে আছেন। সোহানা পারভীন তুলি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক কালের কণ্ঠে কাজ করেছেন। সবশেষ তিনি ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলা ট্রিবিউনে কর্মরত ছিলেন।

 

সোহানা তুলির ছোট ভাই মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, গতকাল যশোর থেকে ঢাকায় এসে এক বন্ধুর বাসায় উঠি। সর্বশেষ গতকাল দুপুরে আপুর সঙ্গে কথা হয়েছিল। বুধবার সকালে উঠে খিলক্ষেতে যাই। সেখানে ৩টার দিকে আব্বু ফোন করে ঘটনা জানান।

 

তুলির বাড়ি যশোর সদরের বটতলা এলাকায়। ২০১৮ সাল থেকে তিনি রায়েরবাজারের শেরেবাংলানগর রোডের বাসায় ভাড়ায় থাকতেন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোহানা তুলি সাংবাদিকতা ছেড়ে মনোহর নামে একটি অনলাইন শপ খুলে সেখানে মসলা জাতীয় পণ্য বিক্রি করতেন।


News Source: Ref:  BSS।  UP।   PNS।  BNA।  UNB ।  dbcnews ।  Google News।  Yahoo news ।  Bing news  । imdb

উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.