সর্বশেষ সোহানা অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের কর্মী ছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর বন্ধু রোকসানা মিলি। তিনি উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে বলেন, সোহানা বাংলা ট্রিবিউন ছেড়েছেন বেশ কয়েক মাস হয়ে গেছে। তিনি নতুন চাকরি খুঁজছিলেন। তাঁর মা–বাবা থাকেন যশোরে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলা ট্রিবিউনের একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক প্রথম আলোকে জানান, সোহানা দুই বছর আগে এই প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র সাব–এডিটর হিসেবে কাজ করতেন।
সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সোহানার সঙ্গে কথা হয়েছিল জানিয়ে রোকসানা মিলি বলেন, স্বাভাবিকভাবেই তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল। অস্বাভাবিক কিছু মনে হয়নি। পরে আর তাঁর সঙ্গে কথা হয়নি। অন্য এক বন্ধু গতকাল রাত থেকে সোহানার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলেন। যোগাযোগ করতে না পেরে আজ বেলা আড়াইটার দিকে ওই বন্ধু বাসায় এসে দেখেন, ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। পরে দরজা ভেঙে দেখা যায়, সোহানা পারভীন বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলে আছেন। সোহানা পারভীন তুলি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক কালের কণ্ঠে কাজ করেছেন। সবশেষ তিনি ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলা ট্রিবিউনে কর্মরত ছিলেন।
সোহানা তুলির ছোট ভাই মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, গতকাল যশোর থেকে ঢাকায় এসে এক বন্ধুর বাসায় উঠি। সর্বশেষ গতকাল দুপুরে আপুর সঙ্গে কথা হয়েছিল। বুধবার সকালে উঠে খিলক্ষেতে যাই। সেখানে ৩টার দিকে আব্বু ফোন করে ঘটনা জানান।
তুলির বাড়ি যশোর সদরের বটতলা এলাকায়। ২০১৮ সাল থেকে তিনি রায়েরবাজারের শেরেবাংলানগর রোডের বাসায় ভাড়ায় থাকতেন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোহানা তুলি সাংবাদিকতা ছেড়ে মনোহর নামে একটি অনলাইন শপ খুলে সেখানে মসলা জাতীয় পণ্য বিক্রি করতেন।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com