নিজস্ব প্রতিবেদক, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: কৃষ্ণ’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ কালো। আবার অন্যত্র, কৃষ্ণকে নীল মেঘের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। ইতিহাসবিদদের বিবেচনায় ১০০০-৯০০ খ্রিস্টপূর্বে সনাতন ধর্মের প্রাণপুরুষ শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে। পঞ্জিকা মতে, ২০২২ সালের ১৯ আগস্ট অর্থাৎ আজ শুক্রবার শ্রীকৃষ্ণের ৫২৪৮তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
সেই ধারাবাহিকতায়, ঢাকের মুহু মুহু শব্দের সাথে তাল মিলিয়ে নারী পুরুষের যৌথ নৃত্য আর সুদীর্ঘ র্যালী ও ধর্মীয় আলোচনার মধ্য দিয়ে রাজশাহীতে পালিত হয়েছে শ্রী কৃষ্ণের ৫২৪৮ তম জন্মবার্ষিকী। আজ ১৯ আগষ্ট শুক্রবার সকাল ১০. ৩০ টায় রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজারস্থ শ্রী শ্রী গোপীনাথ ও লক্ষীনারায়ণ দেব বিগ্রহ (হুনুমানজিউ আঁখড়া) মন্দির থেকে বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে মহানগরীর সাগর পাড়া হয়ে আলুপট্টি প্রদক্ষিণ করে পুনরায় হুনুমানজিউর আঁখড়ায় গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে মন্দিরের সামনে প্রায় ঘন্টা ব্যাপি ধর্মীয় আলোচনা ও অতিথিদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এবং রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা: আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা।
বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ, রাজশাহী মহানগর কমিটির সভাপতি এ্যাড: শরৎ চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাসিকের ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আব্দুল হামিদ সরকার টেকন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, রাজশাহী মহানগর শাখা ও বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রী শ্যামল কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন জাতীয় পরিষদের সদস্য শ্রী কার্তিক চন্দ্র হালদার, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাজশাহী মহানগর শাখার সহ-সভাপতি সাধন সরকার, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ রনজিৎ সাহা, বিশ্বজিৎ দে।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, রাজশাহী মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জল ঘোষ, পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মৃদুল কুমার সাহা, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও পূজা উদযাপন পরিষদের দপ্তর সম্পাদক অরবিন্দ দত্তসহ মহানগরীর সকল মন্দিরের ভক্তগণ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাজশাহী মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক পার্থ পাল চৌধুরী।
উল্লেখ্য যে, বিভিন্ন পুরাণ ও প্রাচীন গ্রন্থ মতে, দ্বাপরযুগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ১২৫ বছর মর্ত্যধামে কাটিয়েছেন। মাঘ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে তিনি ইহধাম ত্যাগ করেন। আবার সেই দিনটিকেই কলিযুগের সূচনাকাল হিসেবে ধরা হয়। খ্রিস্টপূর্ব ৩১০১ সালে কলিযুগ আরম্ভ হয়। বর্তমান ২০২২ খ্রিস্টাব্দ। সুতরাং কলিযুগ স্থায়ী রয়েছে ৫১২৩ বছর ধরে। শ্রীকৃষ্ণের অর্ন্তধানের দিনই কলিযুগের আবির্ভাব। অর্থাৎ সেই হিসাব অনুযায়ী শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব হয়েছিল ৫২৪৮ বছর পূর্বে।
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন
Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.
Subscribe to get the latest posts sent to your email.