tanor_bnp_betrayed_leader_mojammel
নৌকার পক্ষে ভোট চাইলেন তানোর উপজেলার বিএনপি নেতা মোজাম্মেল

নৌকার পক্ষে ভোট চাইলেন তানোর উপজেলা বিএনপি নেতা মোজাম্মেল

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

তানোর প্রতিনিধি || উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: রাজশাহী তানোর উপজেলায় রাজশাহী-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর পথসভায় উপস্থিত হয়ে নৌকায় ভোট চেয়েছেন বিএনপির নেতা মোজাম্মেল । মঙ্গলবার বিকেলে তানোর উপজেলার সরনজাই ইউনিয়নের শিধাইড় ক্লাব মোড়ে ভোট চান ঐ বিএনপি নেতা।

 

 

 

তানোর উপজেলার বিএনপির এই নেতার নাম মোজাম্মেল হক খান। তিনি তানোর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন। এ ছাড়া তিনি সরনজাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। এই অনুষ্ঠানে ওমর ফারুক চৌধুরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

ওই সভায় মোজ্জামেল হক বলেন, ‘আমার একটা মেসেজ, যেহেতু আমাদের বিএনপি থেকে প্রার্থী নাই। বিএনপি নির্বাচন করছে না। অতএব বিএনপি যেহেতু নির্বাচন করছে না, বিএনপির লোকেরা ভোট না দিলেও কিন্তু ৭ তারিখে একজন এমপি নির্বাচিত হবেন। আল্লাহ যার ভাগ্যে লিখে রেখেছেন। আমরা চাইব, আমাদের তানোর-গোদাগাড়ীর উন্নয়ন হোক। এখন আমি যদি অন্য আমের গাছ লাগাই আর ফজলি আমের প্রত্যাশা করি, তাহলে কি হবে। কখনোই হবে না। অতএব উনি (বর্তমান সংসদ সদস্য) একজন আমাদের পরীক্ষিত মানুষ। এই মানুষ থুইয়ে হঠাৎ নতুন লোক আইসবে, এটা শিখতে শিখতেই কিন্তু পাঁচ বছর চলে যাবে। কথা ঠিক না বেঠিক বলেছি বলেন। অতএব আমরা ভুল করব না।’

 

 

 

উল্লেখ্য যে,  এর আগে গত ১৯ অক্টোবর রাজশাহী-৬ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর দেওয়া ফুলের মালা পরে বিপাকে পড়েন মোজাম্মেল খান। এ ঘটনায় খবর রটে, তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। ওই সময় তিনি উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের প্রতিবেদককে জানিয়েছিলেন , তিনি ছাত্রদল করেছেন, যুবদল করেছেন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। এখন আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে। তিনি কমিটির অন্যতম সদস্য। তিনি কেন আওয়ামী লীগে যোগ দেবেন? সংসদ সদস্য তাঁকে স্নেহ করেন বলে মালাটি দিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেননি।

 

 

 

তবে সার্বিক বিষয়ে রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে জানান, মোজাম্মেল হক তানোর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ছিলেন। এখন আর তিনি বিএনপির কোনো পদে নেই। বক্তব্য দিয়ে থাকলে এটা তাঁর ব্যক্তিগত বক্তব্য। তিনি ওই সভায় বিএনপির কথা বলতে পারেন না। এর আগেও তিনি এক সভায় সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর দেওয়া ফুলের মালা গলায় পরেছিলেন মোজাম্মেল খান। বিএনপি তখনই তাঁকে শোকজ করেছিল। এ বিষয়ে কেন্দ্রে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.