স্টাফ রিপোর্টার, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: রাজশাহী মহানগরীর সাগরপাড়া এলাকায় একজন নির্বাচন কর্মকর্তার বাসায় আওয়ামী লীগের এক নেতাকে তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন তাঁর দলেরই নেতা-কর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তাঁকে উদ্ধার করে। আওয়ামী লীগের এই নেতার নাম মীর ইশতিয়াক আহমেদ (লিমন)।
ঐ নেতা রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। আর নির্বাচন কর্মকর্তার নাম আবুল হোসেন। তিনি নগরের ৯, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, এই আওয়ামী লীগ নেতার মামা আবদুল হামিদ সরকার (টেকন) নগরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং এবারের নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী। তাঁর মামাকে জেতাতে এবং আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকে হারানোর জন্য ষড়যন্ত্র করতে এসেছিলেন তিনি।
তবে এত বড় সত্য কে উদঘাটন করল ?
রাজশাহী মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইশতিয়াক লিমনের মুখোশ উন্মোচনে যে ত্যাগী কর্মী সবার প্রথমে প্রতিবাদ করেছিলেন তার নাম মো: মতিন তানভীর অভি। তানভীর অভি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাজশাহী মহানগরীর অন্যত্তম ত্যাগী নেতা রাজিবেরই ছোট ভাই। বড় ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের সৈনিক হিসেবে ইতিমধ্যে তানভীর অভি ওয়ার্ড পর্যায় থেকে মহানগর পর্যন্ত যে ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে তা তৃনমুল নেতাকর্মীদের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কিন্তু গনমাধ্যম কর্মীদের দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তানভীর অভি জানান – আপনারা সবাই জানেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইশতিয়াক লিমনের বাবা মীর ইকবাল রাজশাহী জেলার পরিষদ চেয়ারম্যান। একজন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ছেলের এমন কাজ শুধু আওয়ামীলীগ কিংবা রাজশাহী তথা দেশের সকলের জন্য লজ্জাজনক।
তবে উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তানভীর অভি জানান – মীর ইশতিয়াক লিমন আমাকে অনেক প্রস্তাবই দিয়েছেন যা আমি ফিরিয়ে দিয়েছি। তবে আমার এবং আমার পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে আমি সন্দিহান। কেননা সে আমাকে প্রাকাশ্যে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিল অবরুদ্ধ থাকার সময়।
এদিকে বিক্ষোভকারীরা তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি করেন। আওয়ামী লীগ নেতা মীর ইশতিয়াক লেমনের বাবা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল। তাঁর আরেক মামা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। এই পরিবার এবার সিটি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর জন্য কাজ করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশিক দত্ত অভিযোগ করেছেন, মীর ইশতিয়াক আহমেদের সঙ্গে আরও দুজন ছিলেন। তাঁরা বাসার ভেতরে ঢুকে টাকা লেনদেন করছিলেন।
এ সময় তাঁরা ভেতরে ঢোকেন। তখন দরজা সামান্য একটু খোলা ছিল। তাঁরা ফেসবুক লাইভ করে ভেতরে ঢুকছিলেন। তাঁদের দেখে ইশতিয়াক আহমেদ শৌচাগারের ভেতরে পালান। তাঁরা তাঁর পিছু নিলে টাকার ব্যাগ নিয়ে অন্যজন পালিয়ে যান। তবে বাসা থেকে কী উদ্ধার করা হয়েছে, তা জানা যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ এ ব্যাপারে কোনো কথা বলেনি। নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন টাকা লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.
Subscribe to get the latest posts sent to your email.