হাইড্রোজেন গাড়ির যুগে পদার্পন করল বাংলাদেশ
হাইড্রোজেন গাড়ির যুগে পদার্পন করল বাংলাদেশ

হাইড্রোজেন গাড়ির যুগে পদার্পন করল বাংলাদেশ

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংবাদ, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন:: বাংলাদেশের তিজারাহ মোটরস লিমিটেড গত মাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে হাইড্রোজেন চালিত গাড়ি টয়োটা মিরাই আমদানি করেছে অর্থাৎ এক কথায় হাইড্রোজেন গাড়ির যুগে পদার্পন করল বাংলাদেশ।১ লিটার হাইড্রোজেনের মাধ্যমে ১০০-১২৫ কিলোমিটার চালানো সম্ভব এই গাড়িতে।

  • গাড়ির বিবরন

নতুন সাজে টয়োটার দ্বিতীয় প্রজন্মের মিরাই হাইড্রোজেন এফসিইভি গাড়িতে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। তাছাড়া, পাঁচ আসনের এই গাড়িটি দামেও বেশ সাশ্রয়ী।

গাড়িটির ২০২১ সালের মডেল এখন আরও বড় এবং “লেক্সাস এলএস সেডানের” মতো একই আরডব্লিউডি প্ল্যাটফর্মে নির্মিত। এতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি আকর্ষণীয় হওয়া সত্ত্বেও অনেকে মনে করেন, এতে পুনরায় জ্বালানি সরবরাহ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

আগের সংস্করণের তুলনায় এর ড্রাইভিং রেঞ্জ বাড়ানো হয়েছে ৩০%। এতে সংযোজিত হয়েছে ১৮২ হর্স পাওয়ার এবং ৩০০ ফুট/পাউন্ড টর্ক।
এর উচ্চ কর্মক্ষমতার জ্বালানি সেলে এমন একটি ব্যাটারি যুক্ত করা হয়েছে যা শক্তি সঞ্চয় করতে সক্ষম।

গাড়ির বাইরের অংশটি আধুনিক এবং পরিশীলিত এবং এর আরডব্লিউডির অনুপাত বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। গাড়িটির ডিজাইন টয়োটার ফ্ল্যাগশিপ ব্র্যান্ড লেক্সাসের মতো।

এর নির্মাণশৈলীতে মানের সঙ্গে কোনো আপস করা হবে না বলে নিশ্চিত করেছে টয়োটা। তুলনামূলক অধিকসংখ্যক বাটন এবং নবসমৃদ্ধ গাড়ির ভেতরের অংশটি ক্যামরির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

গাড়িটির ভেতরের জায়গা বেশ বড় হলেও মাঝের কাউলটি (হুড এবং উইন্ডশিডের মাঝখানের প্যানেল) বড় হওয়ায় এবং একটি হাইড্রোজেন ট্যাঙ্ক অনেক জায়গা নেওয়ায় পিছনের তিন আসনের মাঝেরটি বেশ সংকুচিত হয়ে যায়।

গাড়িটিতে নেভিগেশনসহ একটি ১৩.২ ইঞ্চির টাচ স্ক্রিন এবং “জেবিএল” ব্র্যান্ডের অডিও সিস্টেম ব্যবহৃত হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ বেইজসহ ধাতব নীল রঙের যে গাড়িটি আমদানি করা হয়েছিল তাতে ১৮৫ হর্সপাওয়ার ও ১৫৪ হাইড্রোজেন জ্বালানি সেল সংযোজিত হয়েছে, যা জ্বালানি বাঁচানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর।
৫ কিলো ট্যাঙ্কের ক্ষমতাসহ মিরাইয়ের ড্রাইভিং রেঞ্জ ৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি।

এক লিটার হাইড্রোজেনের মাধ্যমে ১০০-১২৫ কিলোমিটার চালানো সম্ভব। গাড়িটি কার্বন ডাই অক্সাইডও নির্গমন করবে না।

আগেই বলা হয়েছে, এই গাড়ির ক্ষেত্রে পুনরায় জ্বালানি সরবরাহ করাটা সামগ্রিকভাবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ হাইড্রোজেন রিফুয়েলিং স্টেশন বিশ্বব্যাপী বেশ বিরল এবং বাংলাদেশেও তার বাইরে নয়।

যদিও একবার সম্পূর্ণরূপে জ্বালানি সরবরাহ করা হলে এটিকে দীর্ঘ পরিসরে চালানো সম্ভব, তবুও বিষয়টি নিয়ে ব্যবহারকারীদের চিন্তা করাটা একেবারে অমূলক নয়।

জাপানি শব্দ ‘‘মিরাই’’ এর শাব্দিক অর্থ ‘‘ভবিষ্যৎ’’। টয়োটার দাবি, অটোমোবাইল শিল্পের জন্য হাইড্রোজেন জ্বালানি কোষও ভবিষ্যতের স্বপ্নদ্রষ্টা।

যদিও অন্য ব্র্যান্ডগুলো এই পথ অনুসরণ করবে বলে মনে হয় না। এর পরিবর্তে প্রস্তুতকারকরা নিজেদের বৈদ্যুতিক গাড়িগুলোকে আরও কার্যকর করে তুলতে আগ্রহী।

তিজারাহ মটরস জানায়, তাদের আমদানি করা একমাত্র মিরাই ইতোমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। গ্রাহকের চাহিদা থাকলে রাজধানীর তেজগাঁও-গুলশান লিংক সড়কে অবস্থিত শোরুমটি আরও মিরাই গাড়ি আমদানির ব্যবস্থা করতে পারে।


News Source : wiki  BSS BBC  Ref: Uttorbongo Protidin 


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.