আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। পেশায় তিনি একজন চিকিৎসকও। তবে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন বলে চিকিৎসাসেবা দেওয়া বন্ধ করে দেননি। সপ্তাহে একদিন চিকিৎসাসেবা দিতে ছুটে যান রাজধানী থিম্পুর ন্যাশনাল রেফারাল হাসপাতালে।
শুক্রবার (১০ মে) এমন তথ্যই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
জানা যায়, সপ্তাহে প্রতি শনিবার হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং।
৫০ বছর বয়সী শেরিং বলেন, ছুটির দিনে অনেকে যেমন গল্ফ খেলতে পছন্দ করেন, তেমনি আমি চিকিৎসাসেবা দিতে পছন্দ করি। এটা আমাকে স্ট্রেস (চাপ) কমাতে সাহায্য করে।
প্রধানমন্ত্রী হয়েও হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে আসায় কেউ আলাদা চোখে দেখেনা শেরিংকে। কারণ সবাই তাকে এভাবে দেখতে অভ্যস্ত। তিনি যখন হাসপাতালের এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে হাঁটেন, অন্যরা তখন তাদের নিজ নিজ কাজেই ব্যস্ত থাকেন।
শেরিং বলেন, আমার নির্বাচনী অঙ্গীকারে ভুটানের চিকিৎসাব্যবস্থার যে উন্নয়নের কথা বলেছি, সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা দেওয়া চালিয়ে যাবেন বলেই জানান লোটে শেরিং।
সপ্তাহে প্রতি শনিবার চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পাশাপাশি প্রতি বৃহস্পতিবার মেডিকেল শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের পরামর্শও দেন তিনি। তবে রোববারটা শুধু পরিবারের সঙ্গেই কাটান প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং।
বাংলাদেশের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্জারিতে এফসিপিএস সম্পন্ন করেন লোটে শেরিং। এরপর যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নেন তিনি।
দেশে ফিরে ২০১৩ সালে রাজনীতিতে পদার্পণ করেন শেরিং। সেসময় নির্বাচনে তার দল হেরে গেলেও পরবর্তীতে ২০১৮ সালে জনগণের ভোটে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী হন শেরিং।
…………………………………………………………………………………………………………………………………….. উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.
Subscribe to get the latest posts sent to your email.