ব্রাজিলে জেলে দাঙ্গায় নিহত ৫৭ ১৬ জনের শিরশ্ছেদ:উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক সংবাদ ,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন::ব্রাজিলের একটি জেলে বিরোধী দুটি গ্যাংয়ের মধ্যে লড়াইকে কেন্দ্র করে দাঙ্গা হয়েছে। ভয়াবহ সেই দাঙ্গায় কমপক্ষে ৫৭ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৬ জনের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট ঘাম ঝরাতে হয়েছে দেশটির নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের। এ সময়ে তাদের দু’জনকে জিম্মি করে দাঙ্গাকারীরা। পরে তাদের মুক্তি দিয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৭টায় পারা রাজ্যের আলতামিরা জেলে ওই দাঙ্গার সূত্রপাত হয়।

তা শেষ হয় দুপুর নাগাদ। এ সময়ে ‘কমান্ডো ক্লাস এ’-এর সদস্যরা অন্য একটি সেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই সেলে অবস্থান করছিল প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাং গ্রুপ ‘কমান্ডে ভারমেলহো (রোড কমান্ড)’-এর সদস্যরা। ফলে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ থেকে তা দাঙ্গায় রূপ নেয়। এ সময়ে শিরশ্ছেদ করা হয় ১৬ জনের। একটি অংশে অগ্নিকাণ্ডে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান বাকিরা। স্থানীয় কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দিয়েছেন। এতে বলা হয়, জেলের এক অংশে আগুন দেয়ার পর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। জেলখানা এমনভাবে তৈরি যে তাতে আগুন ছড়িয়ে পড়া দ্রুততর হয়। এ সময়ে বেশির ভাগ মানুষ শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান।

কর্মকর্তারা বলছেন, দাঙ্গা সৃষ্টি হয়েছিল পরস্পর বিরোধী দুটি গ্যাংয়ের মধ্যে। কয়েদিরা সরকারের বিরুদ্ধে কোনো দাঙ্গা করে নি। তাই তারা যে দু’জন নিরাপত্তা রক্ষীকে জিম্মি করেছিল তাদেরকে পরে মুক্তি দিয়েছে। তবে জেলে এমন দাঙ্গা হওয়ার আশঙ্কা বা কোনো পূর্বাভাষ কর্তৃপক্ষ আগে থেকে পায় নি বলে জানানো হয়েছে। ঘটনার পর প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে জেলখানার ভিতরে কমপক্ষে একটি ভবন থেকে কালো ধোয়া উঠে যাচ্ছে আকাশে। আরেকটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, কয়েদিরা ভবনের ছাদে উঠে হাঁটাহাঁটি করছে।

আলতামিরা জেলখানার ধারণ ক্ষমতা ২০০। সেখানে রাখা হয়েছে ৩০৯ জন কয়েটিকে। তবে কর্মকর্তারা এটা মানতে নারাজ যে, ওই জেলখানায় অতিরিক্ত কয়েদি রাখা হয়েছে। দাঙ্গার পর দেশটির আইন মন্ত্রণালয় বলেছে, দাঙ্গার মূল হোতাদের অধিক নিরাপদ কেন্দ্রীয় জেলগুলোতে স্থানান্তর করা হবে। উল্লেখ্য, ব্রাজিলে জেলখানায় সহিংসতা নতুন কিছু নয়। এখানকার জেলগুলোতে রয়েছে প্রায় ৭ লাখ কয়েদি। সংখ্যার দিক থেকে এটা বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ কয়েদি ধারণকারী দেশ। এর ফলে সেখানে কয়েদির গাদাগাদি একটি বড় সমস্যা হয়ে আছে। তাই প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংগুলোর মধ্যে মাঝে মাঝেই সংঘর্ষ হয়। তা থেকে কখনও কখনও তা দাঙ্গায় রূপ নেয়।

অ্যামাজন রাজ্যের মানাউসে চারটি জেলে একই দিনে মে মাসে হত্যা করা হয়েছে ৪০ জনকে। ওই এলাকায় জেলে সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হওয়ার পরের দিনই এ ঘটনা ঘটে। শুধু ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে হত্যা করা হয়েছে কমপক্ষে ১৩০ জনকে। ওই সময় দেশের দুটি বৃহৎ গ্যাংয়ের মধ্যে কয়েকটি জেলখানায় সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। তা থেকে দীর্ঘস্থায়ী দাঙ্গা দেখা দেয়। ফলে কয়েক শত কয়েদিকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। দেশটির প্রেসিডেন্ট জায়ের বলসোনারো জেলখানায় নিয়ন্ত্রণ কঠোর করার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন।


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.