প্রশংসিত রাজশাহী মহানগর ডিবিকে সমালোচনায় ধাবিত করছেন যে সকল অফিসার:উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন ::  ডিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে এমন সব অভিযোগ আসছে, যা অকল্পনীয়। কক্সবাজারে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জড়িতর ঘটনা , এই সত্য জানার পর মানুষের কাছে কোনো কিছুই যেন আর অবিশ্বাস্য মনে হয় না। তার বিচার চলছে। বলা হয় কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।

ডিবির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আসলেই ডিবি বলবে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাকে বদলী করা হয়েছে। সেই ব্যবস্থা মানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রত্যাহার এবং কিছুদিন পর আবার পদায়ন। পুরো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবশ্যই অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। আবার একথাও স্বীকার করতে হবে যে, ডিবি বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কিছু সংখ্যকের দায় পুরো বাহিনীর উপর চাপিয়ে দেয়া যাবেনা ।

যখন দেশের সরকার প্রধান মাদক, জঙ্গীবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান চলমান। ঠিক সেই সময়ে মাদক ব্যবসায়ীকে মাদকসহ গ্রেফতার করেও অর্থের বিনিময়ে মাদক মামলা না দিয়ে আরএমপি ধারায় চালান দেন রাজশাহী মহানগর ডিবি পুলিশের কিছু অসৎ অফিসার । শুধু মাদক ব্যবসায়ীকে ১লাখ ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়েই তারা ক্ষান্ত হননি বরং আটক ১০০ বোতল ফেন্সিডিল বিক্রি করে দিয়েছেন অন্য মাদক ব্যবসায়ীর নিকট । যা রীতিমত দুর্নীতির মধ্যে আরেক দুর্নীতি।

বিশেষ সুত্রে জানা যায়, গত মাসের ২০ অক্টোবর মুরারিপুরের জোলাপাড়া এলাকার আসাদুল ইসলামের ছেলে নাদিম (৩২) কে ১০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক করেন এসআই সেলিম,এএসআই আলমগীর, কন্সটেবল সুমনসহ সংগৃহিত ফোর্স। এরপর রাজশাহী মহানগর ডিবি অফিসে আটক নাদিমকে নিয়ে যাওয়া হলে কন্সটেবল সুমনের সখ্যতায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে আরএমপি ধারায় চালান দেয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় । নাদিমের পরিবারের কাছে থেকে সেই অর্থ গ্রহন করেন কন্সটেবল সুমন ।

পরবর্তীতে বিষয়টি কৌশলে মাদক ব্যবসায়ী নাদিমের ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে কন্সটেবল সুমনের সাথে মোবাইলে কথা বললে কন্সটেবল সুমন জানায় – সে নাদিমকে আটক করেছিল এবং তাকে সেই উক্ত ঘটনা থেকে সেই বাচিয়ে দিয়েছে ।

এদিকে গোপন সুত্রে ডিবি পুলিশের এসআই সেলিম কর্তৃক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করা একটি অডিও রেকর্ডিংয়ে এএসআই আলমগীর, কন্সটেবল সুমনসহ আরোও কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে । সেই রেকর্ডিং এ স্পষ্ট ভাবে উক্ত ঘটনার কথা উল্লেখ আছে।

উক্ত বিষয়টি নিয়ে আরএমপি’র মূখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মোঃ গোলাম রুহুল কুদ্দুসকে অবগত করলে তিনি বলেন – আইনশৃংখলা বাহিনীর কোন সদস্য যদি এই ধরনের কর্মকান্ডে থাকে তবে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনীনুনাগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

তবে সুশীল সমাজ মনে করছেন – মাদককারবারীদের সাথে জড়িত প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা না গ্রহন করলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত মাদক নির্মূল বিরোধী অভিযান আর কোন্দিন সফলতার মূখ দেখবেনা।


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.