নিজস্ব প্রতিনিধি,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: নতুন রোগী এক হাজার টাকা। পুরাতন ৫০০। রিপোর্ট দেখানোর জন্য ৩০০ টাকা। ডাক্তারের চেম্বারে গেলে এমন চার্ট হরহামেশা দেখা যাবে।
প্রাইভেট প্র্যাকটিসের নামে দেশজুড়ে খোলা হয়েছে সেবার দোকান ঘর। যেখানে সেবা বিক্রি হচ্ছে উচ্চ মূল্যে। তবে কিছু ব্যতিক্রম থাকেই। তেমনই এক ব্যতিক্রম ব্যক্তি হলেন ডা. গণপতি আদিত্য।
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তিনি।
২০ বছর ধরে নিজ উপজেলায় নামমাত্র ফিস কিংবা বিনা পয়সায় হতদরিদ্র রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। পাশাপাশি অনেককে আর্থিক সহযোগিতাও করছেন।
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার কুণ্ডল বালিয়া গ্রামে তার বাড়ি। বাবার নাম মৃত্যুঞ্জয় আদিত্য। মা সুনীতি আদিত্য। বাবা ভূমি কর্মকর্তা। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে গণপতি আদিত্য চার নম্বর।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে পড়াশোনা করেন গণপতি। বিসিএস দিয়ে চিকিৎসক হন তিনি। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে সাদামাটাভাবেই চলছে সদা হাস্যোজ্জল এই চিকিৎসকের জীবন।
নিজ এলাকার মানুষের সেবার জন্য তিনি খোলেন চেম্বার। হাসপাতালে ডিউটি শেষ করে সেখানেই রোগী দেখেন।
তার চেম্বারে প্রবেশ করলেই দেখা যাবে একটি চার্ট। যেখানে লেখা যাদের জন্য ফিস দেয়ার প্রয়োজন নেই-
১. আমার সরাসরি সম্মানিত শিক্ষকগণ
২. বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীরঙ্গনা ও তাদের স্বামী, স্ত্রী ও সন্তান (প্রথমবার অবশ্যই পরিচয়পত্রের কপি দিতে হবে)
৩. ভিক্ষুক ও হতদরিদ্র জন
৪. কবি (কমপক্ষে একটি প্রকাশিত কবিতার বই থাকতে হবে এবং এক কপি প্রদান করতে হবে)
এ ছাড়া সেখানে আরো লেখা আছে, অন্যান্য ক্যাটাগরি ডাক্তারের নিজস্ব বিবেচনায় আছে।
সম্প্রতি এমনই একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। আর এ বিষয়টি চিকিৎসক গণপতি আদিত্যর নজরেও আসে। তবে বিষয়টিকে ভালোভাবে দেখছেন না তিনি নিজেই।
Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.
Subscribe to get the latest posts sent to your email.