এটি কি করোনার প্রচলিত টিকাগুলোকে ফাঁকি দিতে সক্ষম? এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে মানুষের মনে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় গত বুধবার শনাক্ত হওয়া এই স্ট্রেইন নিয়ে বিশেজ্ঞরা এখনই খুব বেশি কিছু ধারণা দিতে পারছেন না। তবে তাদের আশঙ্কা, এটি অতি সংক্রামক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ধরনটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন' বা উদ্বেগজনক হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করেছে।
সাউথ আফ্রিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (এসএএমএ)-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ড. অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজি।
দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে মেডিক্যাল প্র্যাকটিস করছেন তিনি। তার মতে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটি ‘অস্বাভাবিক কিন্তু মৃদু’। তিনি নতুন করে বেশ কয়েকজনকে পরীক্ষা করেছেন। তাদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত। তাদের অধিকাংশই করোনার টিকা নেননি।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত যাদের শরীরে এই ধরনটি শনাক্ত করেছি, তাদের স্বাদ বা গন্ধ চলে যায়নি। তবে তাদের হালকা কাশি হতে পারে।
এর বিশেষ কোনও উপসর্গ এখন পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয়নি। আক্রান্তদের বেশ কয়েকজন বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
এদের মধ্যে ছয় বছর বয়সী এক শিশুও আক্রান্ত। তার নাড়ির স্পন্দন এবং শরীরের তাপমাত্রাও বেশি ছিল। এদের সবারই নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন প্রবীণ এই চিকিৎসক।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওমিক্রন এখন পর্যন্ত ৫০ বার রূপ বদল করেছে। স্পাইক প্রোটিনের বদল ঘটেছে ৩০ বারের বেশি। এটি সহজেই মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
দেহকোষে ঢুকে পড়ার জন্য যে কোনও ভাইরাস মূলত এ স্পাইক প্রোটিন ব্যবহার করে। আর স্পাইক প্রোটিনকে লক্ষ্য করেই বেশিরভাগ টিকা তৈরি করা হয়।
এদিকে বাংলাদেশে করোনার নতুন ধরন যেসব দেশে ছড়িয়েছে, সেসব দেশ থেকে যাত্রীর আগমন বন্ধ করার সুপারিশ করেছে কোভিড-সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। আজ রোববার বৈঠক শেষে কমিটি এই সুপারিশ করে। কমিটি জনসমাগম সীমিত করার কথাও বলেছে।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com