What is the indication of the badsha-Minu meeting during the election?
নির্বাচন কালিন বাদশা-মিনুর বৈঠক কিসের ইঙ্গিত

নির্বাচন কালিন বাদশা-মিনুর বৈঠক কিসের ইঙ্গিত

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন:-

রাজশাহী নৌকা পেয়েও ভোটের মাঠে জোটবিহীন হয়ে পড়েছেন রাজশাহী-২ (সিটি) আসনের সংসদ-সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। নিজ দলের কয়েকজন নেতাকর্মী এখন তার প্রচারসঙ্গী। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আগেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বাদশার দিক থেকে। দিন দিন জয়ের আশাও ক্ষীণ হচ্ছে। ভোটের মাঠের এই টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই এক বৈঠককে কেন্দ্র করে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন ফজলে হোসেন বাদশা।

 

জানা যায়, শনিবার রাতে নগরীর হোটেল এক্স-এ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনুর সঙ্গে বৈঠক করেন ফজলে হোসেন বাদশা। নগরীতে খবরটি জানাজানি হয় সোমবার। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে বৈঠকের খবরে রাজশাহীতে তোলপাড় চলছে। বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য সিটিতে’ পরিণত হয়েছে। কারণ অতীতে একাধিকবার ভোটযুদ্ধে পরস্পরের মুখোমুখি হন বাদশা-মিনু। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনুকে হারিয়ে সংসদ-সদস্য হয়েছিলেন বাদশা। ২০১৮ সালে বাদশা-মিনু আরেকবার মুখোমুখি হয়েছিলেন রাজশাহী-২ আসনে। এর আগে ২০০২ সালে বাদশাকে হারিয়ে রাসিকের মেয়র হয়েছিলেন মিনু। কয়েক মাস আগে একটি টিভি চ্যানেলের টকশোতে বাদশার অতীত নিয়ে বিতর্কিত  কথা বলে হইচই ফেলেছিলেন মিনু।

 

সূত্র জানায়, শনিবার রাতের বৈঠকে বাদশা-মিনু কিছু সময় একান্তে বসেছিলেন। ওই সময় হোটেল এক্স-এর প্যানোরোমা ক্যাফেতে দুই নেতা মুখোমুখি বসে কফি খেয়েছেন।

 

একাধিক গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ক্যাফেতে বসে দুজন ২০ মিনিটের মতো সময় কাটিয়েছেন। তবে কী নিয়ে দুই নেতার মধ্যে কথা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মিনুর সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘কাকতালীয়ভাবে ওইদিন হোটেল এক্স-এ বিএনপি নেতা মিনুর সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়। এটি পূর্ব কোনো সূচি ছিল না। নিছক সাক্ষাৎ হওয়ার ঘটনা মাত্র। সেখানে সৌজন্য বিনিময় হয়। এ সময় হোটেলের কর্মচারীরা তাদের কফি পরিবেশন করেন। এর বেশি কিছু নয়। এটা নিয়ে একটা বিশেষ মহলে জল ঘোলা করার চেষ্টা করছে বলে শুনেছি। তাতে কোনো লাভ হবে না।’

 

অন্যদিকে মিজানুর রহমান মিনু ওইদিন বাদশার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টিকে পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, ‘মাসদুয়েক আগে বিমানের ভেতরে বাদশার সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল। এটা চলতি পথের দেখা। এর বাইরে কোথাও কোনো সাক্ষাৎ হয়নি তাদের।’

 

এদিকে বাদশা-মিনুর বৈঠকের খবর নগরীতে ছড়িয়ে পড়ায় রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গনে নানান আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। খবরটি জানাজানির পর একাধিক গোয়েন্দা সংস্থাও মাঠে নেমেছে তত্ত্ব-তালাশ করতে। চলমান ভোটের সময় কেন আকস্মিকভাবে বাদশা-মিনু বৈঠক করলেন তা নিয়েও রীতিমতো গবেষণা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।   

 

হোটেল এক্স-এর অপারেশন ম্যানেজার ফখরুল আলম শোভন বলেন, ‘ঘটনার দিন সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে প্রথমে ফজলে হোসেন বাদশা স্যার এসেছিলেন। বাদশা স্যার হোটেলে প্রবেশের কিছুক্ষণ পর মিজানুর রহমান মিনু স্যারও হোটেলে আসেন। তারা একত্রে বসে কফি খেয়েছেন। এরপর যে যার মতো চলে গেছেন।’ 

 

গত তিনটি সংসদ নির্বাচনের মতো আসন্ন ৭ জানুয়ারির নির্বাচনেও রাজশাহী-২ আসনে জোটের প্রার্থী হিসাবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন ফজলে হোসেন বাদশা। এবার তার প্রতিদ্বন্দ্বী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা। 


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.