ultima-wallet-mtfe-fraud-apps
আলটিমা ওয়ালেট ও এমটিএফই অ্যাপ তদন্তে ৩ সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছে রাজশাহী আদালত

আলটিমা ওয়ালেট ও এমটিএফই অ্যাপ তদন্তে ৩ সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছে রাজশাহী আদালত

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: ভুয়া অ্যাপ দিয়ে প্রতারণার একটি মামলা সম্মিলিতভাবে তদন্ত করতে ৩ সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল। রোববার জেলা জজ আদালতের আইনজীবী জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। 

 

 

 

আদালতের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য রাজশাহী মহানগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন। রাজশাহীর আদালত রাজপাড়া থানা, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের ১জন করে উপপরিদর্শক (এসআই) কিংবা তদূর্ধ্ব সাইবার বিষয়ে চৌকস কর্মকর্তার সমন্বয়ে যৌথভাবে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রাজশাহী আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে এসকল তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

 

 

মামলার আরজিতে আরও বলা হয়েছে, সম্প্রতি রাজশাহীর ডাশমাড়ি এলাকার সবুজ, লিটন, এখলাসসহ কিছু যুবক আলটিমা উইলেট নামের একটি অ্যাপে ২০ লাখ টাকার মতো বিনিয়োগ করেন এলাকার মুনায়েম নামের এক বন্ধুর কথায়। দুই-একবার ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পেয়েছেন তাঁরা। হঠাৎ অ্যাপটি বন্ধ হয়ে যায়। এ নিয়ে বোয়ালিয়া থানায় গত ২৬ জুন সবুজ আলী বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই অ্যাপের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। উল্লেখ্য যে রাজশাহী থেকে প্রকাশিত নিউজ পোর্টাল উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনে সর্বপ্রথম সংবাদটি প্রকাশ হয়। এরই সূত্র ধরে সাইবার ইউনিটের সহযোগিতায় গ্রেফতার হয় আলটিমা ওয়ালেটের প্রধান মুনেমসহ ৬ জন।

 

 

রাজশাহীতে অনলাইনে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ করলেন যেভাবে রাজমিস্ত্রী মুনায়েম

 

 

তবে রাজশাহীতে বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এমটিএফই নামের একটি অ্যাপ। এই অ্যাপে টাকা বিনিয়োগ করলে দ্রুত কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে মানুষের কাছে প্রচার করছেন কিছু যুবক। এমটিএফই অ্যাপ অফিস নিয়ে বসেছে নগরের লক্ষ্মীপুর এলাকায়। এটি পরিচালনা করেন রাজপাড়া থানা এলাকার সবুজ নামের এক যুবক। তাঁর কথায় অ্যাপের ফাঁদে পা দিয়ে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন অনেকেই। এমটিএফই অ্যাপের প্রচারকারী আরেক যুবকের নাম রুবেল। তাঁর বাড়ি দুর্গাপুর উপজেলায়। তিনি রাজশাহী সাহেব বাজার আরডিএ মার্কেটের এক দোকানের কর্মচারী। তিনি রাজশাহীসহ দুর্গাপুরের শতাধিক মানুষকে এমটিএফই অ্যাপে টাকা বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করছেন। অ্যাপে টাকা বিনিয়োগ করলে প্রতিদিন দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা লাভ হবে বলে তাঁদের প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। তবে অ্যাপ বন্ধ হয়ে গেলে দায়ভার কেউ নেবেন না বলেও জানিয়েছেন।

 

 

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা বলেন, এই সকল অ্যাপর গভীর তদন্তের জন্য আদালত থেকে ৩ সংস্থার কার্যালয়ে আদেশ পাঠানো হয়েছে।


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.