থানা প্রতিনিধি , উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন ::  রাজশাহীতে ১০ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (১৬) অপহরণের পর ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর মূল অভিযুক্ত পালিয়ে গেলেও দুই সহযোগীকে গ্রেফতার ও ভিকটিম স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার দু’দিন পর রাজশাহী মহানগরী  থেকে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।

ধর্ষণের ঘটনা গ্রেফতারকৃতরা হলো - আশরাফুল ইসলাম বাবু (৪৪) ও মোক্তার হোসেন (৩৫)।

এদিকে মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে জানান, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা ৩ জনকে আসামি করে সোমবার রাতে থানায় মামলা করেছেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, তার স্কুলপড়ুয়া মেয়ে প্রাইভেট পড়ার জন্য যাওয়া-আসার পথে মোহনপুর উপজেলার নওনগর গ্রামের শামসুল প্রামাণিকের বিবাহিত ছেলে ইমরান প্রামানিক (৪০) প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো। 

তার এ কাজে সহযোগিতা করতো একই গ্রামের আশরাফুল ইসলাম ও মোক্তার হোসেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফেরার পথে ইমরান প্রামাণিক ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম বাবু এবং মোক্তার হোসেন তার মেয়েকে অপহরণ করে রাজশাহী মহানগরীতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে ইমরান।

ধর্ষন মামলা হওয়ার পর রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোমবার ওই ছাত্রীকে উদ্ধারবকরা হয়  এবং ওই রাতেই উপজেলার বাকশিমইল গ্রাম থেকে এজাহারভুক্ত আসামি আশরাফুল ইসলাম বাবু ও মোক্তার হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে প্রধান  আসামি ইমরান এখনো পলাতক রয়েছে।

মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ ঘটনায় থানায় দায়ের করা মামলায় মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

আর নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। মামলার মূল আসামিকে গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।