two-doctor-murder-in-rajshahi-.jpg
রাজশাহী মহানগরীতে একই দিনে একই সময়ে ২ খুনের তদন্তে পুলিশ

রাজশাহী মহানগরীতে একই দিনে একই সময়ে ২ ডাক্তারের খুনের তদন্তে পুলিশ

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: রাজশাহীতে ২ চিকিৎসককে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে ১ জন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চিকিৎসক। অন্যজন হোমিও চিকিৎসক। রোববার দিবাগত রাতে এ দুটি খুনের ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে রাজশাহী মহানগরীতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করেছে।

 

 

 

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিহত চিকিৎসকের নাম গোলাম কাজেম আলী (৪২)। তিনি চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন। আর হোমিও চিকিৎসকের নাম এরশাদ আলী দুলাল (৪৫)। তার বাড়ি রাজশাহী মহানগরীর উপকণ্ঠ কচুয়াতৈল এলাকায়। তাকে অপহরণের পর কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

 

 

 

বিভিন্ন সূত্র জানায়, রাজশাহীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে চেম্বার শেষ করে বাসায় ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন ডা. কাজেম আলী। রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে রাজশাহী নগরীর বর্ণালী মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এই চিকিৎসক নগরীর উপশহর এলাকায় থাকতেন। তাঁর স্ত্রীও একজন চিকিৎসক।

 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে চেম্বার শেষ করে মোটরসাইকেলযোগে বাসায় ফিরছিলেন ডা. কাজেম আলী। বর্ণালী মোড়ে একটি মাইক্রোবাস তার গতিরোধ করে। এরপর মাইক্রোবাস থেকে দুর্বৃত্তরা নেমে তার বুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

 

 

অন্যদিকে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহরাওয়ার্দী জানান, নিহত চিকিৎসকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রামেকের মর্গে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। কেন, কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তার তদন্ত চলছে। হত্যাকারীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

 

 

 

এদিকে নিহত এরশাদ আলী দুলাল হোমিও চিকিৎসা দিতেন। রোববার বিকালে তাকে নিজ এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়। রাত ৯টার দিকে নগরীর শাহমখদুম থানার সিটিহাট এলাকা থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তাকেও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

 

 

 

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহমখদুম থানার ওসি ইসমাইল হোসেন আনার উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে স্বজনেরাই দুলালকে অপহরণ করে বলে পরিবার অভিযোগ করে। অপহরণের পর চন্দ্রিমা থানায় একটি অভিযোগও করা হয়। এর ছয় ঘণ্টার মধ্যে শাহমখদুম থানা এলাকায় তার লাশ পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি উদ্ধার করে রাতেই রামেকের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 

 

ওসি বলেন, ‘আমাদের থানা এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার হলেও এখানে মামলা হয়নি। চন্দ্রিমা থানার অপহরণ মামলাটিই এখন হত্যা মামলায় রূপ নেবে। হত্যাকারীদের ধরতে চন্দ্রিমা থানা পুলিশ কাজ করছে।’

 


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.