আমরা প্রশ্নগুলো একত্রিত করে কুরআন-সুন্নাহ ও ইনসাফপূর্ণ যুক্তির আলোকে জবাব দেয়ার প্রয়াস পেয়েছি। উক্ত নিবন্ধে হাদীসের সাথে মাকতাবাতুশ শামিলা অনুসারে হাদীসের নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে।ঈদে মিলাদুন্নবী কেন উদযাপন করা হয়? ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করা হয় নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা, নিয়ামতকে স্মরণ করা এবং খুশি প্রকাশ করার জন্য। আল্লাহ যখন তাঁর বান্দাদের প্রতি নিয়ামত দান করেন, তখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা বান্দার ওপর ওয়াজিব হয়ে যায়। কুরআন মাজিদে আল্লাহ আমাদেরকে শুকরিয়া আদায় করার তাগিদ দিয়েছেন।
আল্লাহ বলেছেন, “যে শুকরিয়া আদায় করল, সে তার নিজের (কল্যাণের) জন্যই শুকরিয়া আদায় করল। আর যে অকৃতজ্ঞ হলো (সে জেনে রাখুক) আমার রব অভাবমুক্ত, মহানুভব।” (সুরা নামল, আয়াত-৪০)আল্লাহ কেবল শুকরিয়া আদায় করার নির্দেশ-ই দেননি, বরং এর প্রতিদান ও শুকরিয়া আদায় না করার শাস্তিও ঘোষণা করেছেন।
আল্লাহ বলেছেন, “স্মরণ করো, যখন তোমাদের রব ঘোষণা করেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদের জন্য আমার নিয়ামত বৃদ্ধি করে দেব। আর তোমরা যদি অকৃতজ্ঞ হও, (তবে) আমার আযাব অত্যন্ত কঠোর।” (সুরা ইবরাহীম, আয়াত-৭)
যে কোনো নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করার জন্য প্রথমে ওই নিয়ামতকে স্মরণ রাখা আবশ্যক। আমাদের পূর্ববর্তী উম্মাহ বনী ইসরাইলকে আল্লাহ এ মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন, এবং আমাদেরকেও দিয়েছেন। আল্লাহ বলেছেন, “হে মুমিনগণ, তোমাদের প্রতি আল্লাহর নিয়ামতকে স্মরণ করো।” (সংক্ষেপিত, সুরা মায়িদা, আয়াত-১১; সুরা আহযাব, আয়াত-৯)
কেবল স্মরণ করাই যথেষ্ট নয়, বরং আল্লাহ আমাদেরকে নিয়ামত প্রাপ্তির জন্য আনন্দিত হওয়ার অনুপ্রেরণাও দিয়েছেন। বলেছেন, “বলুন, আল্লাহর করুণা ও রহমতের বদৌলতেই (কুরআন এসেছে)। অতএব এর প্রতি সবার আনন্দিত হওয়া উচিৎ।” (সুরা ইউনুস, আয়াত-৫৮)
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com