নিজস্ব প্রতিবেদক,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: দেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে ৫জি প্রজন্মের টেলিকম সেবা ৫জি। অথচ তৃণমূল পর্যায়ে এখনও ৪জি সেবা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। তাহলে বলা যেতেই পারে এটি প্রতারণা ছাড়া আর কি ? এমন প্রশ্ন সকলের।
সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) জরিপে উঠে এসেছে, রাজশাহী বিভাগে নির্ধারিত গতিতে ফোরজি সেবা দিতে পারছে না চার মুঠোফোন অপারেটরের ৩টি ।
বিটিআরসির পরীক্ষায় গ্রামীণফোন, রবি ও টেলিটকে ফোরজি সেবার নির্ধারিত ন্যূনতম ডাউনলোড গতি মেলেনি। এমনকি থ্রিজি সেবাও নিশ্চিত করতে পারেনি রাষ্ট্রীয় অপারেটর টেলিটক। আর এই খবরটি নিশ্চিত করেছে দেশের ২৪ ঘন্টার সংবাদের স্যাটেলাইট চ্যানেল সময় টিভি।
বিটিআরসি বলছে, চলতি বছরের ২৯ আগস্ট থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার ৪৪টি উপজেলায় এই জরিপ চালানো হয়। নীতিমালা অনুযায়ী, ফোরজি সেবায় সর্বনিম্ন ডাউনলোড গতি সেকেন্ডে সাত মেগাবাইট থাকতে হবে।
অথচ জরিপে দেখা দেখা গেছে, রবির ইন্টারনেট ডাউনলোড গতি সেকেন্ডে ৬ দশমিক ২৮ মেগাবাইট, গ্রামীণফোনের ৪ দশমিক ৪৫ মেগাবাইট, টেলিটকের দুই দশমিক ৫৮ মেগাবাইট। শুধুমাত্র বাংলালিংক ডাউনলোডের নির্ধারিত গতি নিশ্চিত করতে পেরেছে, যা সেকেন্ডে ৭ দশমিক ০৫ মেগাবাইট।
থ্রিজির ক্ষেত্রে রবি, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক নির্ধারিত গতিতে সেবা দিলেও পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হতে পারে নি রাষ্ট্রীয় অপারেটর টেলিটক।
নীতিমালা অনুযায়ী, থ্রিজি সেবায় সর্বনিম্ন ডাউনলোড গতি সেকেন্ডে দুই মেগাবাইট রাখতে হয়। পরীক্ষায় দেখা গেছে, গ্রামীণফোনের ডাউনলোড গতি ছিল সেকেন্ডে ২ দশমিক ৮৭, রবির ২ দশমিক ৬৭ ও বাংলালিংকের ২ দশমিক ৪০ মেগাবাইট। অথচ টেলিটকের গতি পাওয়া গেছে সেকেন্ডে ১ দশমিক ৪৯ মেগাবাইট।
ইন্টারনেট সেবায় কাঙ্খিত গতি দিতে ব্যর্থ হলেও কলড্রপের হার নির্ধারিত সীমার মধ্যেই রয়েছে সব অপারেটরের।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com