The-Satanic-Temple-news-56_resize_11
বিশ্বব্যাপী শয়তানের গীর্জার আধিপত্য বিস্তার

বিশ্বব্যাপী শয়তানের গীর্জার আধিপত্য বিস্তার

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

এম.এ.হাবীব জুয়েল :: জেনে নিন বর্তমান বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত শয়তানের গির্জার বা The Satanic Temple এর  সংখ্যা কত কিংবা সদস্য সংখ্যা কত? এই Temple এর উদ্দেশ্য কি?  প্রত্যেক মুসলমানের জানা উচিৎ। পুরো ঘটনাটি জেরুজালেমের ইতিহাস সংশ্লিষ্ট। জেরুজালেমের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। ইহুদীদের লাল গাভী। ইহুদীরা কি থার্ড টেম্পল নির্মাণ কাজ শেষ করবে ? দাজ্জাল কি আসতে চলেছে ? জেরুজালেম আবার মুসলিমদের দখলে কখন আসবে? গাজওয়াতুল হিন্দ কি আদৌ হবে।বিস্তারিত শুধুই নিউজের আলোকে জেনে নিই আজকে চলুন

 

 

স্যাটানিজম বা শয়তানবাদ মূলত মানুষের বিশ্বাসের ওপর আঘাতকারী শয়তানের উপাসনা, ভক্তি ও প্রশংসাকে বোঝানো হয়ে থাকে। আমেরিকার পর এবার ঘাঁটি গাড়ছে আফ্রিকায়। চলতি বছরের ৩রা জুন দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শয়তানের গির্জা নিবন্ধিত হয়েছে। তবে এটি শয়তানের গির্জা নাম হলেও এটি চার্চ অব স্যাটান বা টেম্পল অব স্যাটানের শাখা নয় বলে দাবি করেছে তারা। কিন্তু শয়তানের গির্জার ওয়েবসাইটের  মাধ্যমে জানা যায়, ইতোমধ্যে তাদের সদস্য সংখ্যা ৭ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে।শুধু তাই নয় তাদের আছে ইউটিউব চ্যানেল, ইন্সটাগ্রাম পেজ, টুইটার পেজ এবং পিনটারেস্ট পেজ।তাদের ফলোয়ার লক্ষ লক্ষ।আমাদের এও জেনে রাখা উচিত থার্ড টেম্পলে দাজ্জালের আগমন এভাবেই ঘটবে।

 

 

শয়তানের গির্জার ওয়েবসাইট thesatanictemple.com

শয়তানের গির্জার ইউটিউব চ্যানেল https:\/\/preview-xupnewsc.uttorbongoprotidin.com//preview-xupnewsc.uttorbongoprotidin.com//m.youtube.com/c/TheSatanicTemple

প্রমান লিংক : বিবিসি নিউজ  https:\/\/preview-xupnewsc.uttorbongoprotidin.com//preview-xupnewsc.uttorbongoprotidin.com//www.bbc.com/news/magazine-33682878.amp

প্রমান লিংক : উইকিপিডিয়া     https:\/\/preview-xupnewsc.uttorbongoprotidin.com//preview-xupnewsc.uttorbongoprotidin.com//en.m.wikipedia.org/wiki/The_Satanic_Temple

প্রমান লিংক : এবিসি নিউজ   https:\/\/preview-xupnewsc.uttorbongoprotidin.com//preview-xupnewsc.uttorbongoprotidin.com//abcnews.go.com/amp/US/wireStory/satanic-temple-takes-aim-idaho-indiana-abortion-bans-91065718

 

🟥 শয়তানের গীর্জার সৃষ্টি যেভাবে

১৯৬০ সালের আগে শয়তানের উপাসক দলগুলোকে গুপ্ত ও অবৈধ মনে করা হতো। আধুনিক শয়তানবাদ প্রথম সবার নজরে আসে ১৯৬৬ সালে চার্চ অব স্যাটান বা শয়তানের গির্জা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। ১৯৬৬ সালের ৩০ এপ্রিল এন্টন স্যান্ডর ল্যাভি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের সানফ্রান্সিসকো শহরে তার নিজ বাড়িতে শয়তানের গির্জা প্রতিষ্ঠা করেন। 

 

 

১৯৯৭ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনিই চার্চের মহাযাজক ছিলেন। ল্যাভি মৃত্যুর আগে বেশ কয়েকটি বই লিখেছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম ‘স্যাটানিক বাইবেল’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৯ সালে। তার বাড়িতে অনুগামীদের নিয়ে সাপ্তাহিক শয়তানরীতির অনুষ্ঠান শুরু করেছিলেন, যা ‘ব্ল্যাক হাউস’ নামে পরিচিত ছিল। ল্যাভির মৃত্যুর পর চার বছর মহাযাজকের পদটি খালি ছিল। 

 

 

 

২০০১ সালে পিটার এইচ গিলমোর এ পদ অলংকৃত করেন। চার্চ অব স্যাটানের সদর দফতার সানফ্রান্সিসকো থেকে সরিয়ে নিউইয়র্কের ম্যানহাটন শহরের ‘হেলস কিচেনে’ আনা হয়। এরপর ম্যাসাচুসেস্টের সালেম শহরের একটি ঐতিহ্যবাহী ভবনে সদর দফতর স্থানান্তর করা হয়। ল্যাভির মৃত্যুর পর শয়তানবাদের বিশ্বাস নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। 

 

 

🟥 শয়তানের গীর্জায় কি আছে ? 

চার্চ অব স্যাটানে রয়েছে শয়তানের ধর্ম সম্পর্কিত একটি আর্ট গ্যালারি। যাতে রয়েছে শয়তানি সাহিত্য এবং ইতিহাস সম্পর্কিত বই। মন্দিরটির প্রধান আকর্ষণ একটি ৮ ফুট ৬ ইঞ্চি ব্রোঞ্জ ভাস্কর্য। এর মাথাটি অনেকটা ছাগলের মতো। পিঠে আছে ইগল পাখির মতো ডানা। এর নাম ‘ব্যাফোমেট’।

 

শয়তানের মন্দিরের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং মুখপাত্র লুসিয়ান গ্রিভস বলেন, ‘এটি আমাদের প্রাথমিক অনুষ্ঠানের কক্ষ। আমরা, শয়তানের মন্দিরের সদস্যরা সপ্তাহে একবার এখানে জড়ো হই। লুসিয়ান গ্রিভসকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো শয়তানের গির্জার সদস্যরা কি এই মুর্তিটিকে পবিত্র মনে করে? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আধ্যাত্মিক’ বা ‘পবিত্র’ এই শব্দগুলো আমাদের জন্য প্রযোজ্য নয়। আমরা কোনো অতি প্রাকৃতিক বিশ্বাস লালন করি না। আমরা মূলত একটি নিরীশ্বরবাদী ধর্ম। আমাদের কোনো ঈশ্বর নেই। আমরা কোনো কিছুর অতিপ্রাকৃতিক ব্যাখ্যা দিই না বা সেসবকে গ্রহণও করি না।

 

গ্রিভস ব্যাখ্যা করে বলেন, আমরা পুরাণ ও সাহিত্যে যে শয়তানের কথা বলা হয় সেটাকে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহী প্রতীক বা চরিত্র হিসেবে বিবেচনা করি। আর এ কারণেই আমরা শয়তানের উপাসনা করি না।

 

‘বরং এই উপাসনার ধারণাটাই, যারা নিজেদেরকে শয়তানবাদের সদস্য মনে করে, তাদের জন্য অপমানজনক একটা বিষয়। কারণ উপাসনা মানেই হচ্ছে  অন্যের দাসত্ব। আর আমাদের শয়তানবাদের মূল কথাই হলো ব্যাক্তিগত সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং ইচ্ছার স্বাধীনতা। 

 

 

🟥 শয়তানের স্কুলকে বলা হয় শয়তান ক্লাব 

প্রমান লিংক : ফক্স নিউজ https:\/\/preview-xupnewsc.uttorbongoprotidin.com//preview-xupnewsc.uttorbongoprotidin.com//www.fox29.com/news/satanic-temple-opens-after-school-satan-club-at-elementary-school-in-moline-illinois.amp

প্রমান লিংক :  ইনকুইরার নিউজ  https:\/\/preview-xupnewsc.uttorbongoprotidin.com//preview-xupnewsc.uttorbongoprotidin.com//www.inquirer.com/news/satanic-temple-fundraiser-northern-york-school-district-pennsylvania-20220830.html

প্রমান লিংক : ওয়াশিংটন পোস্ট    https:\/\/preview-xupnewsc.uttorbongoprotidin.com//preview-xupnewsc.uttorbongoprotidin.com//www.washingtonpost.com/local/education/an-after-school-satan-club-could-be-coming-to-your-kids-elementary-school/2016/07/30/63f485e6-5427-11e6-88eb-7dda4e2f2aec_story.html

 

 

🟥 শিক্ষনীয় বিষয় 

আল্লাহতালা ১৪০০ বছর আগেই আমাদের প্রিয়নবীর মাধ্যমে সতর্ক করেছেন শয়তানের গীর্জা বা এই সকল টেম্পল বিষয়ে

আল্লাহ বলেন তোমরা পরিহার কর অপবিত্র বস্ত্ত অর্থাৎ মূর্তিসমূহ এবং পরিহার কর মিথ্যাকথন।’ -সূরা হজ্জ : ৩০

তাই মুসলমান ভাইদের উদ্দেশ্যে করে বলতে চাই সজাগ থাকুন, সজাগ রাখুন এবং #থার্ড #টেম্পল সম্পর্কে। 

 


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.