রাজশাহী বাগমারায় শিক্ষকের জমি দখল করে নৌকার সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিল ভূমিদস্যুরা

বাগমারা প্রতিনিধি, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: রাজশাহী  বাগমারায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী পোস্টার ঝুলিয়ে এক স্কুল শিক্ষকের জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী স্কুল।শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দখলের বিষয় স্বীকার করে বলেছেন, অভিযোগকারীর সঙ্গে বসে বিষয়টি তারা নিষ্পত্তি করবেন।

উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের দেউলা গ্রামের স্কুলশিক্ষক ভুক্তভোগী মোয়াজ্জেম হোসেন অভিযোগ করে বলেন, দেউলা বাস টার্মিনাল এলাকায় তাদের একখণ্ড জমি আছে। এর মূল্য অর্ধকোটি টাকা হবে। জমির পাশে একটি শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয় আছে।

তবে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল তার ওই জমি দখলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। এবার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে পুঁজি করে ওই চক্র তৎপর হয়ে উঠেছে।

মোয়াজ্জেম হোসেনের অভিযোগ, গত ২৬ ডিসেম্বর মানিক মণ্ডল, ইসরাইল হোসেন, ফজলুর রহমানসহ কয়েকজন তার বাস টার্মিনালের ওই জায়গায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপনের জন্য ঘিরে ফেলেন। প্রথমে কালো কাপড় দিয়ে ঘিরে সেখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী লুৎফর রহমানের নৌকার পোস্টার ঝুলিয়ে দেয়া হয়।

এরপর সেখানে সিমেন্টের খুঁটি ও ওপরে ঢেউটিনের ছাউনি দেয়া হয়। তিনি বাধা দিলে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়। তখন তিনি ইউএনও ও ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগ পেয়ে ওই দিনই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দখলদারেরা তখন পুলিশকে বলেন, নির্বাচনের পর তা ভেঙে ফেলবেন।

দখলকারীদের একজন ইসরাইল হোসেন বলেন, নির্বাচনের জন্য জায়গাটি সাময়িক ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্বাচন পার হলে জায়গাটি ছেড়ে দেয়া হবে। তিনি দাবি করেন, জায়গাটি অভিযোগকারী স্কুলশিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেনের দাদা তাদের (শ্রমিক সংগঠনকে) মৌখিকভাবে দান করেছিলেন। এ জন্য নিচু জায়গাটি ভরাট করা হয়েছে।

বাগমারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারিকুল ইসলাম বলেন, বাদী ও বিবাদীকে নিয়ে একটি সমঝোতা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। বিবাদীরা নির্বাচনের পর জায়গাটি ছেড়ে দেয়ার কথা বলেছেন। এরপরও জায়গাটি দখলমুক্ত না হলে বাদীকে আদালতে যেতে বলা হয়েছে।

বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক সুফিয়ান বলেন, একটা অভিযোগ এসেছে। ওই জায়গায় অফিসটি বৈধ না অবৈধ সেটি যাচাই-বাছাই করা হবে। অবৈধ বা দখল করা হলে সেটি উচ্ছেদ করা হবে।