এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ০৮ নং ওয়ার্ডে জীবন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এমতবস্থায় রাজশাহী এয়ারপোর্ট থানা মামলা নিলেও কোন অগ্রগতি নেই ঐ মামলায়। তবে সন্ত্রাসীরাই এখন নাকি উল্টো মামলার বাদী। অবশ্য এ বিষয়ে বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী জানিয়েছেন - যারা আহত হলো,যাদের মাথা ফাটাল যাদের হাত ভেঙ্গে গেল তারাই নাকি এখন আসামী। দেশে কি আইন নেই?
অনুসন্ধানে আরোও জানা যায়, গেল ৬ই সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার প্রতিপক্ষরা ইনতাজুল হকের দোকানের জমিতে খুটি পুতে চারপাশে বাউন্ডারি ওয়াল তুলে দোকান দখলের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে জমির প্রকৃত মালিক ইনতাজুল হক জমিতে গেলে প্রতিক্ষরা ইনতাজুল হকের মাথায় সাবল দিয়ে আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় প্রতিপক্ষরা এলোপাতাড়ি মারধর করে হাত পা ভেঙে দেন। বাবাকে রক্ষা করতে গিয়ে হামলার শিকার হন তার ছেলে নুর ইসলাম পারভেজ। প্রতিপক্ষরা তাকে-ও লোহার রড ও সাবল দিয়ে শরিরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। আহতরা চিৎকার চেচামেচি করলে এলাকাবাসী এসে আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
এদিকে ইনতাজুল হকের মেয়ে সোনিয়া বলেন, প্রতিপক্ষরা তার বাবার জমি ও দোকান দখল নেবার চেষ্টা করছিলেন। এসময় আমার বাবা ও ভাই এগিয়ে আসলে তাদের উপর সন্ত্রাসী কায়দায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হামলা করেন। এবং জানে মেরে উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রের কোপ দিয়ে গুরুতর জখম করে। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
প্রত্যক্ষদর্শী রকিউল ইসলামসহ এলাকাবাসীররা জানান , জনসম্মুখে প্রকাশ্যে মাথায় সাবল দিয়ে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। পরে এলাকাবাসি এসে আহতদের রামেক হাসপাতালে ভর্তি করান।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীদের একটি বড় অংশ জানিয়েছেন - এয়ারপোর্ট থানার ওসি মো মশিউর রহমান আহতদের মামলা না নেয়ার পায়তারা করলেও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের চাপের মুখে মামলা নিলেও তার কয়েক ঘন্টা পরেই সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করে উল্টো সন্ত্রাসীদের মামলা নিয়েছেন ওসি সাহেব। যা রীতিমতো অপরাধের শামিল।
এদিকে এয়ারপোর্ট থানার ওসি মো মশিউর রহমানকে নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সচেতন মহলের মহলের নাগরিকবৃন্দ বলছেন - যারা আহত হলো যারা রক্তাত্ত হলো তারাই উল্টো আসামী হয় কোন আইনে।
এ বিষয়ে রাজশাহী শহর রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক জামাত খান মূঠোফোনে উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে বলেন - আহত ব্যাক্তিরা বিচারের দাবিদার কিন্তু সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাস কায়েম করার পর তারা কিভাবে থানায় গিয়ে বাদী হয়। এই পুরো ঘটনাটি রাজশাহী মহানগর তথা রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সাফল্য মন্ডিত কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করার শামিল। বিধায় এয়ারপোর্ট থানার ওসির এই ধরনের কর্মকান্ডের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সার্বিক বিষয়ে রাজশাহী এয়ারপোর্ট থানার ওসি মো মশিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে মূঠোফোনে উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে তিনি জানান - আমি উভয় পক্ষের মামলা নিয়েছি তবে কেউ গ্রেফতার হয়নি। কেন উভয়পক্ষের মামলা নিলেন এমন প্রশ্নে কোন সদূত্তর দিতে পারেননি এই ওসি।
এদিকে ইনতাজুল হকের মেয়ে সোনিয়া উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে জানান - ঘটনার শুরু থেকেই সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়েছেন এয়ারপোর্ট থানার ওসি মশিউর রহমান। আর এই পুরো বিষয়টি এলাকাবাসীসহ সকলেই অবগত। কেননা আমার বাবা ও ভাইয়ের উপর যখন সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় তখন এলাকাবাসীর কয়েকজন পুলিশকে ফোন দিয়ে জানালেও ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায় ১ ঘন্টা পরে।
[embed]https:\/\/preview-xupnewsc.uttorbongoprotidin.com//preview-xupnewsc.uttorbongoprotidin.com//www.youtube.com/watch?v=24zLRAJgsJ4[/embed]
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com