ষ্টাফ রিপোর্টার, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: ফেসবুকে এসে নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করলেন এক ব্যবসায়ী। তাঁর নাম মোহাম্মদ আবু মহসিন খান। তিনি চিত্রনায়ক রিয়াজের শ্বশুর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।

ধানমন্ডি ৭ নম্বর রোডের ২৫ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন আবু মহসিন খান। তিনি নায়ক রিয়াজের শ্বশুর। পুলিশ বলছে, রাত ৯টার দিকে তিনি নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন। ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খবর পেয়ে পুলিশের রমনা বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গেছেন। রাত সাড়ে ১০টার পর্যন্ত লাশ ওই ফ্ল্যাটে ছিল বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। আবু মহসিন খান কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলতে পারেননি তাঁরা।

রাজধানীর ধানমন্ডি থানার পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তি তাঁর ধানমন্ডির বাসায় একাই থাকতেন। নিজের পিস্তল দিয়ে তিনি মাথায় গুলি করেন। বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ৯টার দিকে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে জানা গেছে। এদিকে, চিত্রনায়াক রিয়াজ জানান, তিনি ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।

আত্মহত্যার আগে ফেসবুক লাইভে এসে বার্ধক্যের নিঃসঙ্গতা নিয়ে কথা বলেন তিনি। সাম্প্রতিককালে নিকট আত্মীয়দের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি ক্যান্সার আক্রান্ত। আমার ব্যবসা এখন বন্ধ। আমি বাসায় একাই থাকি। আমার এক ছেলে থাকে অস্ট্রেলিয়ায়। আমার ভয় করে যে আমি বাসায় মরে পড়ে থাকলে কেউ হয়তো খবর পাবে না।

ফেসবুক লাইভে তিনি আরো বলেন, পিতা-মাতা যা উপার্জন করে তার সিংহভাগ সন্তানদের পেছনে খরচ করে। প্রকৃত বাবারা না খেয়েও সন্তানদের খাওয়ানোর চেষ্টা করে, ফ্যামেলিকে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ফ্যামেলি অনেক সময় বুঝতে চায় না। নিজেকে আর মানিয়ে নিতে পারলাম না। যারা দেখছেন, তাদের সঙ্গে এটাই শেষ দেখা। সবাই ভালো থাকবেন।

এরপর কালেমা পড়তে পড়তে নিজের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করেন তিনি। তার আগে পিস্তলের লাইসেন্স দেখান। বলেন, আমি যেটা দিয়ে আত্মহত্যা করছি সেটি ইল্লিগ্যাল কিছু না। এটির লাইসেন্স আছে। সেটি নবায়নও করা হয়েছে। আমি চলে যাব। 

আত্মীয়-স্বজন যারা আছ, যেহেতু বাবাও আমাকে জায়গাটা দেয়নি, আমি যে কবরস্থানটা করেছি সেখানে আমাকে দাফন করো না। মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধে একটি কবরস্থান হয়েছে, সেখানে তোমরা আমাকে দাফন করে দিও। প্রত্যেকটা লোক আমার সাথে প্রতারণা করেছে। আমার বাবা, মা, ভাইরা, প্রত্যেকটা লোক, এভরিওয়ান।