বাঘা থানার ওসি জানান, স্থানীয়রা নদীতে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে নিখোঁজের ঘটনায় রাজিবের বোন চায়না খাতুন বাদি হয়ে বাঘা থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন।
রাজিব উপজেলার চকছাতারী গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। সে উপজেলা সদরে বাঘা ইসলামী একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয় কারিগরি ও কৃষি কলেজে লেখাপড়া করতো।
রাজিবের বোন চায়না খাতুন উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে জানান, গত বুধবার দুপুরের খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয় রাজিব হোসেন। সন্ধায় বাড়িতে ফিরে না আসায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখঁজি করে পাওয়া যায়নি। পরে থানায় ডাইরি করেন। অন্যদিকে আমাদের বাবা মা কাজের সুবাদে ঢাকায় থাকেন । রাজিব নানির সাথে থাকতো। নিখোঁজের কয়েকদিন আগে রেডমি ১০ মোবাইল কেনার জন্য জেদ করেছিল। এরপর তাকে ফোন কিনে দেওয়া হয়েছিল। তবে আমার ধারনা ফোনের জন্য রাজিবকে হত্যা করা হয়েছে।
রাজিবের নানি সুরজান বেগম বলেন, ফোন কেনার পর থেকে রাজিব তার বন্ধুদের সাথে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াতো। বুধবার দুপুরের খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর ফিরে এলো লাশ হয়ে।
বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধারের পর গলায় রশি ও মুখের মধ্যে রশি ঢোকানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য লাশ রামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি বলেন, কি কারণে একজন স্কুল ছাত্রকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
----------------------------------------------------------
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com