জান্নাত রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলার পানানগর গ্রামের চককৃষ গ্রামের মোজাম্মেল হকের মেয়ে। পুলিশ তার স্বামী সিফাতুল ইসলাম তুহিনের ফোন পেয়ে দমকল বাহিনীর সহায়তায় ঘরের দরজা ভেঙে জান্নাতের লাশ উদ্ধার করে। রাতেই লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
দেশ বিদেশের সর্বশেষ খবর পড়ুন উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের গুগল নিউজ চ্যানেলে
আরএমপির বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, জান্নাতের আগে একটি বিয়ে হয়েছিল। ২৬ সেপ্টেম্বর জান্নাত ও তুহিন রাজশাহীর একটি আদালতে গিয়ে হলফনামার মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরে তারা বেতপট্টির একটি ভাড়া বাসায় উঠেন। প্রথমে পুলিশ স্বামী তুহিনকে হেফাজতে নিলেও ঘটনা পর্যলোচনার পর সন্দেহজনক কিছু না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আত্মহত্যার বিশেষ কোনো কারণ জানা যায়নি। রোববার সকালে জান্নাতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
অন্যদিকে রাজশাহী মহানগরীর একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষে জয়নব বেগম (৪২) নামের এক নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে। নাটোর সদর উপজেলার নারায়নপুর গ্রামে এই নারীর বাড়ি। তার বাবার নাম তসির প্রামানিক। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর মোড়ে ‘ড্রীম হ্যাভেন’ নামের আবাসিক হোটেলে উঠেছিলেন তিনি।হোটেলের খাতায় ওই নারীর নাম লেখা ছিল জুলেখা। বয়স দেওয়া ছিল ২৩ বছর।
তার স্বামী হিসেবে খাতায় মিজান নাম লেখা আছে। মিজানের বয়স লেখা আছে ২৭ বছর। তাদের ঠিকানা হিসেবে শুধু লেখা আছে রাজশাহী গোদাগাড়ী। তবে এসব নাম-ঠিকানা ভূয়া। মৃত নারীর ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে আসল নাম-ঠিকানা বের করেছে পুলিশ। তবে সঙ্গে এসে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তির নাম-ঠিকানা রাতে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে রাজশাহীর ড্রীম হ্যাভেন হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে তারা হোটেলে উঠেছিলেন। চিকিৎসার জন্য তারা রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে এসেছেন বলে জানিয়েছিলেন। দুপুর দেড়টার দিকে ওই নারীর সঙ্গে থাকা ব্যক্তি কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। ইফতারের পর দেখা যায়, ৪০৩ নম্বর কক্ষটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ, কিন্তু ভেতরে এসি চলছে। এ সময় অনেক ডাকাডাকি করেও কোন সাড়া না পেয়ে পুলিশ ডাকা হয়। পরে রাজপাড়া থানা পুলিশ দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বিছানায় ওই নারীর মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইমসিন ইউনিটের সদস্যরা কক্ষটি থেকে নানা আলামত সংগ্রহ করেন।
রাজশাহী রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ওই নারীর মরদেহে কোন আঘাত দেখা যায়নি। এমন হতে পারে যে অসুস্থ অবস্থায় এই নারী মারা যাওয়ার পর সঙ্গে আসা ব্যক্তি ভয়ে পালিয়ে গেছেন। অথবা বালিশচাপা দিয়ে এই নারীকে হত্যাও করা হতে পারে। মৃত্যুর কারণ এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে মৃত নারীর ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে আসল নাম-ঠিকানা বের করে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বাড়িতে পৌঁছালে বোঝা যাবে তিনি কার সঙ্গে এসেছিলেন। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হবে। এ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com