সেই ধারাবাহিকতায় আজ রাজশাহীতে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। অর্থাৎ ৭৫ এ পা রাখল ছাত্রলীগ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজশাহীতে মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল।
দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিল- জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন, শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি, র্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিকেলে মহানগর ছাত্রলীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
[caption id="attachment_88094" align="alignleft" width="750"] বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলা গড়ার শপথ নিয়ে রাজশাহীতে পালিত হলো ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী[/caption]
র্যালিটি রাজশাহী নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজশাহী কলেজ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।র্যালিতে নেতৃত্ব দেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও আ’লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং মহানগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। এতে অন্যদের মধ্যে মহানগর ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
এর আগে বিকেলে কুমারপাড়াস্থ মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে বেলুন ও পায়রা উড়ানো হয়।পরে রাজশাহী কলেজ মাঠে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আ’লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ’লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এ.এইচ.এম. খায়রুজ্জামান লিটন বলেন - বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার দীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমায় ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ৫৮’র আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ৬ দফার পক্ষে গণঅংশগ্রহণের মাধ্যমে মুক্তির সনদ হিসেবে এই দাবিকে প্রতিষ্ঠা করে।
এরপর ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনা, ৭০’র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়লাভ এবং ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পরাধীন বাংলায় লাল সবুজের পতাকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে অংশ নেয় ছাত্রলীগ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা সপরিবারে নিহত হওয়ার পর ছিনতাই হয়ে যায় স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিক ধারা।
১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) দেশে ফিরে স্বাধীনতার চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক ধারা পুনরুদ্ধারে আন্দোলনের সূচনা করেন। ছাত্রলীগ ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনন্য ভূমিকা পালন করে।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী মহানগর আ’লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার এবং আ’লীগের কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির সদস্য আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা। অন্যদের মধ্যে জেলা আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম এবং সভা পরিচালনা করেন মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মুবিন সবুজ।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com