রাজশাহীতে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ব্যবসায়ী মাসুদ রানা সরকারের বোন ভাই ও মৃত বাবা জমিদার জসিমউদদীন সরকারের মুক্তিযুদ্ধে রয়েছে অসংখ্য অবদান। এই পরিবারটি অবদান রেখেছে ভাষা আন্দোলনেও। মূলত এই পরিবারটি ছিল জমিদার বিধায় মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করতেন জমিদার জসিমউদদীন।
কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে, ১৯৬০ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ব্যবসায়ী মাসুদ রানার বাসায় গরু চরানো থেকে শুরু করে সকল কাজ করতেন আব্দুর রহমান । অর্থাৎ আভিধানিক অর্থে বলা যেতে পারে রাখাল। পরবর্তীতে ১৯৬৯ সালে স্বপরিবারে ব্যবসায়ী মাসুদ রানার বাসায় বসবাসের জন্য মাসুদ রানার মৃত বাবা জসিমউদদীনের কাছে অনুরোধ জানায় রাখাল আব্দুর রহমান। রাখাল আব্দুর রহমানের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে জমিদার জসিমউদদীনের অনুমতিক্রমে বসবাস শুরু করে।
আরোও উল্লেখ্য যে, তৎকালীন সময়ে মাসুদ রানার বাবা জমিদার জসিমউদদীন ৫০ দশকে প্রায় ১ বিঘা জমি কিনেছিলেন রাজশাহী মহানগরীর গৌরহাঙ্গা এলাকায়। কিন্তু পরবর্তীতে ঐ ১ বিঘা জমির মধ্যে কিছু অংশ জমি জালিয়াতি করে নিজের নামে করে নেন রাখাল আব্দুর রহমান। যে কারনে জমিদার জসিমউদদীন ৮/৯/১৯৭২ সালে জিডি করেন রাখাল আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে। ( জিডির কপি বিদ্যমান)
সম্প্রতি গত ১৩/০৭/২০২৪ ইং তারিখে ব্যবসায়ী মাসুদ রানা তার ভবন মেরামতের কাজ শুরু করলে সেই আব্দুর রহমান সন্ত্রাসী ও গুন্ডাবাহিনী নিয়ে কাজ নির্মানে বাধা প্রদান করেন এবং ৫০,০০০ ( পঞ্চাশ হাজার টাকা) দাবি করেন।
উক্ত বিষয়ে রাজশাহী বোয়ালিয়া মডেল থানা বরাবর অভিযোগ করলে ওসি হূমায়ন বিষয়টি আমলে নিয়ে সুষ্ঠ তদন্তের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করেন। পরবর্তীতে উভয় পক্ষকে স্ব-স্ব জায়গা মাপযোগ করার উভয় পক্ষকে ভূমি অফিসের মাধ্যমে ২ জন সার্ভেয়ার নিয়োগ করলে দেখা যায় ভূমিদস্যু রাখাল আব্দুর রহমান ব্যবসায়ী মাসুদ রানার অতিরিক্ত জায়গায় দখল করে রেখেছেন। এ সময় অতিরিক্ত দখলকৃত জায়গা ভূমিদস্যু রাখাল আব্দুর রহমানকে খালি করার কথা বললে সে উলটো ভয়ভীতি দেখায় এবং আবারোও চাঁদা দাবি করলে ব্যবসায়ী মাসুদ রানা বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং ২৯, তারিখ - ১৫/০৭/২০২৪ইং।
মামলা দায়েরের পরপরই রাখাল আব্দুর রহমানের ছেলে রাজা খান ও আরমান খান পুনরায় ব্যবসায়ী মাসুদ রানার বাড়িতে চাঁদা চাইতে গেলে রাজশাহী বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ হাতেনাতে তাদেরকে গ্রেফতার করে এবং জেল হাজতে পাঠায়। তবে এখনো পলাতক রয়েছে তাদের অপর ২ ভাই রাজু ও বাবু।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com