Posted inBreaking News latest news today news
১ দশকে প্রায় শত কোটি টাকার মালিক রাজশাহীর ছোট মিঠু ওরফে জিরা মিঠু
কাজল আহম্মেদ সম্রাট, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: বিশ্বব্যাপী স্বর্ণকে বলা হয় ‘হার্ড কারেন্সি’। অর্থাৎ যে কোনো সময় স্বর্ণ যে কোনো মুদ্রায় বদল করা যায়। এ কারণে এক দেশের মুদ্রা থেকে অন্য দেশের মুদ্রায় লেনদেন সম্পন্ন করতে স্বর্ণকে একটি মাধ্যম ধরা হয়। আর স্বর্ণ ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে অবাধে লেনদেন করা যায় বলে হুন্ডিতে স্বর্নের কদর বেশি। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো এই হার্ড কারেন্সির মূল্যায়ন কতটুক হয় তা সীমান্তে না গেলে বোঝার উপায় নেই। এখন চোরাকারবারীরা স্বর্ন দিচ্ছেন ভারতে সাথে আনছেন গরু। আবার কখনো কখনো এই গরুর সাথে করে আনছেন হেরোইনও।
অনুসন্ধানে নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র থেকে জানা যায়, দেশের স্বর্ণের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতের স্বর্ণালঙ্কারের চাহিদা মেটাতে সোনার বার দুবাই, কাতার, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে আনা হয়। এসব ❝সোনার বার❞ পরে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্থল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করা হয়।চোরাচালান চক্রগুলোর মধ্যে আমাদের দেশে অবস্থান করা চক্রগুলো সরাসরি জড়িত থেকে হেরোইনে মত মাদক ও গরু আনছেন সোনার বারের বিনিময়ে।
এদিকে খোঁদ রাজশাহী শহরে এই সকল ব্যবসা করে অনেকেই বনে গেছেন কোটিপতি। অনুসন্ধানে উঠে আসে আরোও ভয়ংকর তথ্য।যারা এসকল ব্যবসায় কোটিপতি বনে গেছেন তারা লিগ্যাল বিজনেস হিসেবে কেউ কেউ ডেইরী ফার্ম, রিয়েল এষ্টেট, গার্মেন্টস কিংবা ঠিকাদারির সাথে সম্পৃক্ত হোন কালো টাকা সাদা করতে। আর এসকল কোটিপতি কিন্তু মাত্র কয়েক বছর আগেও হাটে বাজারে ফেরী কিংবা ভ্রাম্যমাণ ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত ছিলো। তবে এক তথ্য মতে এদের অধিকাংশদের বাড়ি রাজশাহী সীমান্তবর্তী চর এলাকায়।