হাজার কোাটি টাকা আত্মসাৎকারী পি কে হালদার পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার

হাজার কোাটি টাকা আত্মসাৎকারী পি কে হালদার পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার

অনলাইন রিপোর্ট, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন  :: হাজার কোটি টাকা পাচারকারী এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক কেলেঙ্কারির মূলহোতা প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।শনিবার (১৪ মে) সকালের দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা। এর আগে পি কে হালদার ও তার সহযোগী সুকুমার মৃধার বিপুল সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায়। শুক্রবার (১৩ মে) পশ্চিমবঙ্গের অন্তত ৯টি স্থানে একযোগে অভিযান চালিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
Murder at a residential hotel in Rajshahi metropolis

রাজশাহী মহানগরীর আবাসিক হোটেলে হত্যাকাণ্ড

মহানগর প্রতিবেদক, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত নারীর নাম জয়নব বেগম। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
2 'robbers' arrested on 999 phone in Rajshahi

রাজশাহীতে  ৯৯৯ এর ফোনে আটক ২ ‘ডাকাত’ 

মহানগর প্রতিবেদক, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন ::  রাজশাহী মহানগরীতে ৯৯৯-এর কল পেয়ে গমের ভুসি ভর্তি ট্রাকসহ দুই ডাকাতকে আটক করেছে নগরীর এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ
রাজশাহী রেলওয়ের শ্রমিক নেতা জহুরুল খুন

রাজশাহী রেলওয়ের শ্রমিক নেতা জহুরুল খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন ::রাজশাহী মহানগরীর ভদ্রা এলাকায় রেলওয়ের এক কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পায়েল রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে।    শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে রেলওয়ের জমিতে ধান…
রাজশাহী দামকুড়ায় পিতাকে হত্যার দায়ে পুত্র গ্রেফতার 

রাজশাহী দামকুড়ায় পিতাকে হত্যার দায়ে পুত্র গ্রেফতার 

নিজস্ব প্রতিবেদক, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন ::   রাজশাহী মহানগরীতে সন্তানের হাতে পিতা হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিহত ব্যক্তি সাজ্জাদ আলী (৬৫)। সে রাজশাহী নগরীর দামকুড়া থানার বিন্দারামপুর গ্রামের বাসিন্দা। এই ঘটনায় মৃতের…
গ্রেফতার বানিজ্য আড়াল করতেই রাজশাহী মহানগর ডিবি ছেড়ে দিল সেই রক্তাক্ত আসামীকে

গ্রেফতার বানিজ্য আড়াল করতেই রাজশাহী মহানগর ডিবি ছেড়ে দিল সেই রক্তাক্ত আসামীকে

নিজস্ব প্রতিবেদক,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন : হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় আসামীকে পেটাতে পেটাতে জনসম্মুখে রক্তাক্ত করার পর রাজশাহী মহানগর ডিবির এসআই জুবায়ের সেই আসামীকে স্থানীয় কাউন্সিলরের জিম্মায় দিয়েছেন

 

 

ঘটনাসূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর আনু: ২ টার দিকে রাজশাহী মহানগর ডিবির এসআই জুবায়ের  ২ জন কন্সটেবলসহ মিজানের মোড় এলাকায় রানা নামে এক ব্যাক্তির বাসায় অভিযান চালায়। কোন মাদক না পাওয়ার পরও রানাকে বেধড়ক পেটাতে পেটাতে গর্তে ফেলে দেন কন্সটেবল কাউসার ও শাকিব। এসময় গর্তে পড়েই রক্তাক্ত হন রানা নামের ঐ যুবক। এরপর রাজশাহী মহানগর ডিবির ঐ তিন সদস্যকে ঘিরে ফেলেন এলাকার শত শত মানুষ।  

 

 

তাদের সকলেরই একই প্রশ্ন ছিল – আপনি যদি রানা নামের এই ব্যাক্তির কাছে মাদক পেয়ে থাকেন তবে তাকে ধরে নিয়ে যান  কিন্তু তাকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে এভাবে নির্যাতন করছেন কেন? এসময় উপস্থিত উত্তেজিত জনতার তোপের মুখে পড়েন এসআই জুবায়েরসহ কন্সটেবল শাকিব ও কাউসার।

 

 

অবস্থা বেগতিক দেখে এসআই জুবায়ের রাজশাহী মতিহার থানার সহযোগীতা চেয়ে পাঠান।  এসময় স্থানীয় থানা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে – এসআই জুবায়ের রানা নামের ঐ যুবকের কাছে থেকে উদ্ধারকৃত মালামাল দেখাতে না পেরে উপস্থিত সকলের সামনে বলেন – সে পালানোর চেস্টা করছিল।

 

 

তাই পালানোর সময় সে গর্তে পড়ে যায়। কিন্তু উক্ত ঘটনার সময় এলাকার অসংখ্যা ব্যাক্তি সাক্ষী দেয় যে, রানা নামের ঐ যুবক পালানোর চেস্টা করেনি বরং তাকে ডিবি পুলিশের ৩ সদস্য পেটাতে পেটাতে রক্তাক্ত করেছিলেন।

 

 

এখন প্রশ্ন এসআই জুবায়ের কি রানা নামের ঐ যুবকের কাছ থেকে সত্যি মাদক উদ্ধার করতে পেরেছিলেন কি? ভিডিও দেখলেই এর সহজ উত্তর পাওয়া যায় – অবশ্যই না। কারন উপস্থিত জনতার মাঝে কোন আলামত দেখাতে পারেননি ডিবির ঐ ৩ সদস্য।

 

 

তাহলে রানা নামের ঐ যুবকের কাছে কোন অপরাধ ছাড়াই তার হাতে হ্যান্ডকাফ কেন ? আর যদি সে অপরাধী হয়েই থাকে তাহলে কাউন্সিলরের জিম্মায় কেন দিতে হবে ? অবশ্যই এ প্রশ্নের সদোত্তর দিতে পারেননি সংশ্লিষ্ট কেহই ।শুধু তাই নয় মহানগর ডিবির সদস্যরা নিজেদের অপরাধ ঢাকতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রানাকে ৮ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করিয়ে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তিও আদায় করেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেডিকেলের একটি সূত্র জানিয়েছে।যে ভিডিও দেখলেই স্পস্ট বোঝা যায় তাকে দিয়ে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি নেয়া হচ্ছে।

 

 

এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় স্কুল শিক্ষক আমজাদ হোসেন বলেন – কেউ যদি অপরাধ করে তবে তার বিচারের জন্য কোর্ট রয়েছে কিন্তু তাই বলে পুলিশ যে কাউকে এভানে পেটাতে পারেনা। এঈ কাজটা ঠিক করেনি ঐ অফিসাররা।

 

 

মোহাইমিনুল নামের সবজি বিক্রেতা বলেন – রানাকে আমি চিনি সে মাদক সেবন করে কিন্তু মাদক বিক্রি করে বলে কারোও জানা নেই। আর এভাবে হাতে হাতকড়া পরিয়ে কুকুরের মত আসামী পেটানোর ক্ষমতা পুলিশকে কে দিল ?

 

গৃহিনী জাহানারা বেওয়া বলেন – রানা আমার প্রতিবেশী। আমি চিৎকার শুনে ছুটে এসে দেখি যে, ৩ জন মিলে রানাকে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছে।আর এ সময় রানার হাতে পুলিশের হ্যান্ডকাফও দেখতে পাই।