অবিশ্বাস্য হলেও সত্য ২০ বছর ধরে পেটের ভেতর কাঁচি জেলা প্রতিনিধি, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: ২০০১ সালে স্থানীয় ১টি ক্লিনিকে পিত্তথলীর অপারেশনের পর থেকে গত ২০ বছর ধরে পেটের মধ্যে আর্টারি ফরসেপ বয়ে বেড়াচ্ছেন বাংলাদেশের মেহেরপুরের গাংণী উপজেলার এলাকার এক নারী। কিন্তু বিশেষ এ কাঁচিটি কিভাবে তার পেটে থেকে গেলো সেটি তিনিও যেমন জানেন না তেমনি বলতে পারেননি তার অপারেশনের সাথে জড়িত থাকা চিকিৎসকরাও। তবে এখন আবার অসুস্থ হয়ে পড়ায় সম্প্রতি এক্সরে তে এটি ধরা পড়লেও উচ্চমাত্রার ডায়াবেটিস থাকায় তার শরীর থেকে এখনো এটি অপসারণ করা যায়নি। প্রায় ৫০ বছর বয়সী এ নারীর বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নওদা হাপানিয়া গ্রামে যা মেহেরপুরের গাংণীর নিকটবর্তী। সেখানকার কুষ্টিয়া রোডে রাজা ক্লিনিকে যে চিকিৎসকরা ওই নারীর পিত্তথলির অপারেশন করেছিলেন তাদের একজন ছিলেন ক্লিনিকটির মালিক ডাঃ পারভেজ হোসেন রাজা। উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের কুস্টিয়া প্রতিনিধিকে তিনি জানান, "এক্সরে তে দেখা যাচ্ছে যে আর্টারি ফরসেপটি তার শরীরে আছে। তার অপারেশনের সময় আমি সহকারী হিসেবে ছিলাম। কিন্তু কীভাবে এটি থেকে গেলো মনে করতে পারছি না। এখন যেহেতু ধরা পড়েছে আমরা অন্য ক্লিনিকে সেটি অপসারণের ব্যবস্থা করবো। তবে তার ডায়াবেটিস বেশি হওয়াতে অপারেশন করা যাচ্ছে না। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এলে আমরা এটি করবো"। তবে ডাঃ পারভেজ হোসেন রাজার ক্লিনিকের সাথে মৌখিক সমঝোতার কারণে বিষয়টি নিয়ে তারা আর গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে আগ্রহী নয় বলে জানিয়েছেন ওই নারীর পরিবারের একজন সদস্য। এদিকে মেহেরপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী বলছেন ঘটনাটি তদন্তে আজই তারা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। উক্ত ঘটনায় রীতিমত বিস্মিত মেহেরপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী।তিনি বলেন - "আমি রীতিমত অবাক। এতদিন এটা সহ্য করলেন কি করে তিনি। আর ধরাই বা পড়লোনা কেন। তবে আল্লাহর ইচ্ছা। আমরা তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তদন্ত হলে জানা যাবে। তবে ওই নারীর সব ধরণের চিকিৎসার খরহন করবে বলে জানিয়েছেন ডাঃ পারভেজ হোসেন রাজা।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য ২০ বছর ধরে পেটের ভেতর কাঁচি 

জেলা প্রতিনিধি, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন ::  ২০০১ সালে স্থানীয় ১টি ক্লিনিকে পিত্তথলীর অপারেশনের পর থেকে গত ২০ বছর ধরে পেটের মধ্যে আর্টারি ফরসেপ বয়ে বেড়াচ্ছেন বাংলাদেশের মেহেরপুরের গাংণী উপজেলার এলাকার এক নারী।

 

কিন্তু বিশেষ এ কাঁচিটি কিভাবে তার পেটে থেকে গেলো সেটি তিনিও যেমন জানেন না তেমনি বলতে পারেননি তার অপারেশনের সাথে জড়িত থাকা চিকিৎসকরাও। তবে এখন আবার অসুস্থ হয়ে পড়ায় সম্প্রতি এক্সরে তে এটি ধরা পড়লেও উচ্চমাত্রার ডায়াবেটিস থাকায় তার শরীর থেকে এখনো এটি অপসারণ করা যায়নি।

 

প্রায় ৫০ বছর বয়সী এ নারীর বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নওদা হাপানিয়া গ্রামে যা মেহেরপুরের গাংণীর নিকটবর্তী। সেখানকার কুষ্টিয়া রোডে রাজা ক্লিনিকে যে চিকিৎসকরা ওই নারীর পিত্তথলির অপারেশন করেছিলেন তাদের একজন ছিলেন ক্লিনিকটির মালিক ডাঃ পারভেজ হোসেন রাজা।

থার্টি ফার্স্ট নাইটে বিষাক্ত মদ পানে ১ জনের মৃত্যু ২ জন চিকিৎসাধীন 

থার্টি ফার্স্ট নাইটে বিষাক্ত মদ পানে ১ জনের মৃত্যু ২ জন চিকিৎসাধীন 

থানা প্রতিনিধি,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন ::   রাজশাহীতে থার্টি ফার্স্ট নাইটে অতিরিক্ত মদ্যপান করায় আছাদুল ইসলাম (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।    আজ রবিবার ভোর ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবকের…
Parker_Solar_Probe

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো মহাকাশযান সূর্যকে স্পর্শ করেছে

অনলাইন নিউজ , উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: সভ্যতার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সূর্যের বলয়ে পৌঁছে গেছে মানুষের তৈরি মহাকাশ যান ‘পার্কার সোলার প্রোব’। শুধু তাই নয়, সেখান থেকে কুড়িয়ে এনেছে নমুনাও।  …
সেই দূর্নীতিবাজরা কেমন আছেন?

সেই দূর্নীতিবাজরা কেমন আছেন ?

হাবিব জুয়েল, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর নিকেতনের নিজ কার্যালয় থেকে বিদেশি মদ, অস্ত্র আর বিপুল পরিমাণ নগদ টাকাসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন জিকে শামীম। এরইমধ্যে দুইটি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ফেলেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত সেই জামিন বাতিল হয়ে যায় শামীমের।

 

অস্ত্র মামলায় গত জানুয়ারি মাসে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয় জি কে শামীমের। কিন্তু পরে করোনা শুরু হওয়ায় এখন বিচার কাজ বন্ধ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা। ‘তথ্য গোপন করে’ গত ফেব্রুয়ারি মাসে দুইটি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন তিনি। তাকে অস্ত্র মামলায় ৬ মাস এবং মাদক মামলায় ১ বছরের জামিন দেয়া হয়েছিল। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে সেই জামিন পরে বাতিল হয়ে যায়।

 

ক্যাসিনো কেলেঙ্কারির আরেক আলোচিত নাম ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। দুইটি মামলায় চার্জশিট দেয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে। অস্ত্র মামলায় গত ৬ নভেম্বর এবং মাদক মামলায় ১৫ ডিসেম্বর চার্জশিট দেয়া হয়। মাদক মামলায় দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি এনামুল হক আরমানও আসামি। মামলাগুলোর বিচার এখনো শুরু হয়নি।

 

 

 

গড মাদার কুইন পাপিয়া 

 

গত ২২ ফেব্রুয়ারি দেশের বাইরে পালানোর সময় বিমানবন্দর এলাকা থেকে দুই সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হন বহিষ্কৃত যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়া। তার স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ২৯ জুন অস্ত্র আইনের একটি মামলায় চার্জশিট দেয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার চার্জশিট দেওয়ার কথা রয়েছে চলতি মাসে। মাদক মামলাও রয়েছে পাপিয়ার বিরুদ্ধে।

 

 

 

 সাহেদ-সাবরিনা  গ্যাম্বলিং

 

ভুয়া করোনা প্রতিবেদন এবং অবৈধভাবে অর্থ আয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার চার্জশিট দেয়া হয়েছে ৮ আগস্ট। মামলাটি তদন্ত করেছে ডিবি। আর রিজেন্ট হাসপাতালের মো. সাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলার চার্জশিট দেয়া হয় ৩০ জুলাই। তার বিরুদ্ধে ভুয়া করোনা টেস্ট রিপোর্টের তদন্ত চলছে।

 

 জেলখানাতে দূর্নীতির চেস্টা অব্যাহত 

 

এ পর্যন্ত গত কয়েক বছরের আলোচিত ঘটনা ও মামলায় বেশ কয়েকজন কারাবন্দি এখন কারাগারের বাইরের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে তারা আসলে ‘ভালো থাকার’ জন্যই নানা কৌশলে হাসাপাতালে অবস্থান করছেন।  তাদের মধ্যে জি কে শামীম, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও ডেসটিনির রফিকুল আমীন অন্যতম। জি কে শামীম, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট এবং ডেসটিনির চেয়ারম্যান রফিকুল আমিন আছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে। সম্রাটকে কেবিনে রাখা হয়েছে। বাকি দুইজন আছেন প্রিজন সেলে।  কারাসূত্রে জানা গেছে ঢাকায় আরো ৯ জন কারাবন্দি এখন কারাগারের বাইরের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর কারাগারে থাকা অন্য ‘ভিআইপি’ আসামিরা সেখানে বসেই আইনের বাইরে নানা সুবিধা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ।

 

অভিযোগ উঠেছে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বালিশ কাণ্ডে গ্রেপ্তার সাজিন এন্টারপ্রাইজের মালিক শাহাদত হোসেনসহ তার সহযোগীরা কারাগারে বসেই বাইরে তাদের টেন্ডার বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছেন।

 

এআইজি (প্রিজন) মো. মঞ্জুর হোসেন অবশ্য দাবি করে বলেন, বন্দিদের কারাগারের বাইরে আদালতের নির্দেশে অথবা চিকিৎসকদের পরামর্শেই পাঠানো হয়। কারা কর্তৃপক্ষ প্রশাসনিক কোনো সিদ্ধান্তে কাউকে কারাগারের বাইরে চিকিৎসার জন্য পাঠায় না। তার সুযোগও নেই। অনেক সময়ই আদালত বন্দিদের আবেদনে তাদের কারাগারের বাইরে চিকিৎসার আদেশ দেন।

 

তিনি বলেন, কারাগারে হাসপাতাল আছে। সেখানকার চিকিৎসকরাও বন্দিদের চিকিৎসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন। তারাই যাকে বাইরের হাসপাতালে চিকিৎসা প্রয়োজন বলে মনে করেন তাদের ব্যাপারে সুপারিশ করেন। যারা এখন বাইরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তারা আদালতের নির্দেশ এবং চিকিৎসকের পরামর্শেই আছেন।

৩১ ডিসেম্বর আসছে ‘চিরঞ্জীব মুজিব’

৩১ ডিসেম্বর আসছে ‘চিরঞ্জীব মুজিব’

বগুড়া প্রতিনিধি, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ মুক্তি পাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ…
চলন্ত লঞ্চে আগুনে পুড়ল ৩০ জন যাত্রী

চলন্ত লঞ্চে আগুনে পুড়ল ৩০ জন যাত্রী

জেলা প্রতিনিধি,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: শীতের রাত। কাঁথা-কম্বল মুড়িয়ে ঘুমের দেশে লঞ্চের হাজারখানিক যাত্রী। হঠাৎ আগুন আগুন আর্তচিৎকারে ঘুম ভেঙে বেশিরভাগ যাত্রী দেখলেন তাদের জন্য খোলা পথ মাত্র দুটি, হয় আগুনে পুড়ে মরতে হবে নয়তবা নদীতে ডুবে। 

 

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত তিনটার দিকে এমনই এক কঠিন সিদ্ধান্তের মুখে পড়তে হলো বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চের হাজারো যাত্রীকে।সুগন্ধা নদীতে ল‌ঞ্চে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গুরুতর দগ্ধ ৭০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন উদ্ধার কাজে সংশ্লিষ্টরা।