আমীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বরিশালের ভোটে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম দুইবার হামলার শিকার হয়েছেন। নির্বাচনের বুথগুলো নিয়ন্ত্রণে রেখে তারা যে কার্যকলাপ করেছে এর প্রতিবাদে আমরা নির্বাচনের ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করছি। পাশাপাশি সিলেট এবং রাজশাহীতে নির্বাচন বয়কট ঘোষণা করছি। এবং নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করছি।
এদিজে হাতপাখার মেয়রপ্রার্থী ফয়জুলের ওপর হামলার ঘটনার সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, 'ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিমের ওপর হামলা হয়েছে। কিন্তু কে বা কারা হামলা করেছে, তা আমরা এখনো নিশ্চিত না। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আমরা হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।'
পুলিশ কমিশনার কার্যালয় থেকে বেরিয়ে ফয়জুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি এর আগে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। সেখান থেকে বেরিয়ে শুনতে পাই ২২ নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের ভোটারদের ঢুকতে দিচ্ছে না। তারা বলেছে, নৌকায় ভোট না দিলে ঢুকতে দেয়া হবে না। আমি সেখানে প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলি। কেন্দ্রের ভেতরে বাইরের লোকজন ছিল, দায়িত্বে নাই এমন লোকজন ছিল। তারা নৌকার ব্যাজ পরা। তারা জড়ো হয়ে আমাদের সঙ্গে তর্ক শুরু করে। আমি আমার সমর্থকদের সরাতে গেলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়।'
আগামী শুক্রবার বাদ জুমা সারাদেশে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভেরও ঘোষণা দেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আগেই বার বার বলে আসছি, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। এই পরিবেশ থাকলে আমরা নির্বাচনে যাবো না এই ঘোষণা আমরা আগেই দিয়েছি।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com