নিজস্ব প্রতিবেদক, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বর্তমান পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) যোগদান করেছেন ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৯ তারিখে। যোগদানের পর থেকেই আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি কঠোর হাতে দমন করে চলেছেন । বিশেষত রাজশাহীতে অপারেশন কন্ট্রোল এ্যান্ড মনিটরিং সেন্টার, কিশোর গ্যঙ্গ উৎখাত, ছিনতাইকারী দমন, অপহরন চক্র নিধন, জঙ্গী দমন,আন্তর্জাতিক স্বর্ন চোরাচালান সিন্ডিকেটের মুখোশ উন্মোচনসহ অসংখ্যা অপরাধ দমনে প্রশংষিত হয়েছেন রাজশাহীর আপামর জনগন ও সুশীল সমাজের মাঝে।
কিন্তু হঠাৎ করেই রাজশাহী মহানগর ডিবির নিস্ক্রিয়তায় রাজশাহীতে বেড়েছে মাদকারবারীদের কর্মকান্ড। দৈনিক পত্রিকা ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস রিলিজের আলোকে বিগত ১ বছরের জরিপে দেখা যায়, আজ ২৬/০৪/২০২৩ ইং তারিখ অর্থাৎ বুধবার হতে বিগত ৩ মাসে উল্লেখযোগ্য কোন কার্যক্রম নেই। সেই সাথে মামলার সংখ্যাও নগন্য। কিন্তু ৩ মাস পূর্বে রাজশাহী মহানগর ডিবির কার্যক্রম ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বিগত ঐ মাসগুলোতে মাসিক মামলার সংখ্যা ছিল ৬০ থেকে ৭০টি অথচ আজ থেকে বিগত ৩ মাসে মামলার সংখ্যা আনুমানিক ৩০টির মধ্যে সীমাবদ্ধ। পাবলিক বাদী মামলা আনুমানিক ৭টি। বিধায় ফলাফল কি দাঁড়ালো ? কিন্তু অপ্রিয় হলেও এটাই সত্যি যে, ❝ রাজশাহী মহানগর ডিবি পালহীন নৌকার ন্যায় চলছে ❞
রাজশাহী রাজশাহীর আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজশাহী শহর রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের নেতা জামাত খান বলেন – আমরা দেখেছি, রাজশাহী মহানগরীতে হঠাৎ করেই মাদকে তরুন তরুনীরা জড়িয়ে পড়ছে এবং যেখানে সেখানে ভ্রাম্যমান ভাবে মাদক ডেলিভারীও হচ্ছে। পুলিশ পোশাকে থাকে বিধায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের পোশাক কিংবা গাড়ি দেখলেই নিজেকে আড়াল করে নেয়। কিন্তু ডিবি পুলিশ যেহেতু ছদ্মবেশে যে কোন অভিযান করতে পারে তাই রাজশাহী মহানগরীতে ডিবি পুলিশের ভূমিকা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাইনা – মাদক কারবারীদের কারনে শিক্ষা নগরী খ্যাত রাজশাহী মাদকে সয়লাব হয়ে যাক। তাই আমার আপনার সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য এই শিক্ষা মহানগরীকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করতে রাজশাহী মহানগর ডিবি পুলিশকেই অগ্রনী ভূমিকা রাখতে হবে। বিধায় আমরা চাইনা এই শান্তির নগরী মাদকের ড্যান্ডিতে পরিনত হোক।
এদিকে রাজশাহী মহানগর ডিবি পুলিশের নিস্ক্রিয়তায় তুলনামূলকভাবে রাজশাহী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম অনেক গতিশীল ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। রাজশাহী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন অপারেশনে মদ, গাঁজা, হেরোইন ও ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়েছে। তবে কি কারনে রাজশাহী মহানগর ডিবি নিস্ক্রিয় এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর ডিবির পক্ষ থেকে কোন ইন্সপেক্টর কিংবা কোন অফিসারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
[caption id="attachment_112443" align="alignleft" width="1024"] ❝ রাজশাহী মহানগর ডিবি পালহীন নৌকার ন্যায় চলছে ❞[/caption]
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার কো-অর্ডিনেটর এডভোকেট সালমা সুলতানা বলেন - বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ একটি সংস্থা ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ। সরকার তথা রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীণ ও গোপনীয় অপরাধ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়াই ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ এর প্রধান কাজ।কিন্তু রাজশাহীতে হঠাৎ করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের নিস্ক্রিয়তায় রাজশাহী মহানগরীতে বৃদ্ধি পেয়েছে মাদক সিন্ডিকেটের। বিধায় অল্প বয়সী ছেলে-মেয়েরা নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। রাজশাহীতে অবস্থিত বেসরকারি রিহ্যাব সেন্টার গুলোর নীরিক্ষা মতে প্রতিদিনই মাদক নিরাময় কেন্দ্রে অল্প বয়সী ছেলে মেয়েদের ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। বাবা মায়েরা প্রায়শই তাদের ছেলেমেয়ে নিয়ে আতংকে দিন কাটাচ্ছেন। কিন্তু তারপরেও মাদককারবারী, সন্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কি কারনে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশ নীরব তা এখন সকলের প্রশ্ন। তবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের এখুনিই নজর দেয়া উচিৎ। এতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে এবং সেই সাথে মাদকমুক্ত রাজশাহী গঠনে অভিভাবকের দ্বায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশাবাদী।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com