বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন খণ্ডকালীন শিক্ষক একটি অনুষ্ঠানে এ নিয়ে বইয়ের পাতা ছিঁড়ে ফেলার পর। ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে গতকাল সোমবার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতি দিয়ে জানায়, আসিফ মাহতাব ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তাঁর সঙ্গে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো চুক্তি নেই। এতে আরও বলা হয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখার পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তি এবং সহিষ্ণুতা বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা চলছে।
শরীফ থেকে শরিফা নিয়ে আজ সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল । শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, পাঠ্যবইয়ে হিজড়া জনগোষ্ঠী সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক পাঠ অংশের উপস্থাপনায় কোনো বিতর্ক বা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়ে থাকলে এবং বিশেষজ্ঞরা মনে করলে কিছুটা পরিবর্তন আনা যেতে পারে। তবে বইয়ে শব্দটি ট্রান্সজেন্ডার নয়, থার্ড জেন্ডার আছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেটি আইনত স্বীকৃত, যারা জৈবিক (বায়োলজিক্যাল) কারণে তৃতীয় লিঙ্গ বা সামগ্রিকভাবে সমাজে হিজড়া নামে পরিচিত। তারা এ দেশের নাগরিক। অবশ্যই তাদের নাগরিক সুবিধা আছে। পাশাপাশি মন্ত্রী এটাও স্মরণ করিয়েছেন, দেশে একটি গোষ্ঠীর মাধ্যমে নানা বিষয়ে ধর্মকে ব্যবহার করে বা ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে নানা সময়ে অরাজকতা করার বা পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার প্রবণতা আছে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই খণ্ডকালীন শিক্ষকের ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানাজন নানা রকমের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে জানান, প্রথমত, এখানে একটি বিষয় পরিষ্কার করা উচিত। সেটি হলো, এই অধ্যায়ে ট্রান্সজেন্ডার শব্দটিই ব্যবহার করা হয়নি। লৈঙ্গিক পরিবর্তন সম্পর্কে কোনো কথাই বলা হয়নি। এখানে হিজড়া জনগোষ্ঠী বা থার্ড জেন্ডার শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। রাষ্ট্র এই ‘হিজড়া জনগোষ্ঠী’কে স্বীকৃতি দিয়েছে।
হিজড়ারাও মানুষ। সৃষ্টির এই বৈচিত্র্য সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যেই এ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কারণ, বিরূপ আচরণের কারণে তারা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। হিজড়া জনগোষ্ঠীর সঙ্গে যাতে বিরূপ আচরণ না করা হয়, সে বিষয়েই মূলত সচেতন করা হয়েছে।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com