রমজান আলী, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: সকল প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে যিনি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের একজন সফল কাউন্সিলর ও আইনজীবী হয়েছেন তিনি অন্য কেউ নন বরং তিনি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ০৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকু । এলাকাবাসী উন্নয়নে প্রতিদিনই কোনো না কোনো কর্মসূচি নিয়ে তিনি হাজির হন। প্রতিবারই ভিন্ন আঙ্গিকে ভিন্ন কৌশলে জনসেবা করে যাচ্ছেন এই কাউন্সিলর। কখনও অসহায় শিশুদের পাশে, কখনও প্রতিবন্ধীদের পাশে আবার কখনও নও মুসলিমদের পাশে এভাবে একের পর এক সামাজিক কর্মকান্ড করেই যাচ্ছেন তিনি। মানুষের সেবা করাই যেন তার নেশা পেশা হিসেবে পরিণত হয়েছে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের অন্য সকল কাউন্সিলরের চেয়ে তিনি ব্যাতিক্রমী কর্মকাণ্ডে যে নিজেকে এগিয়ে রেখেছেন এ বিষয়ে বিন্দু সন্দেহ নেই।
তবে রাজশাহী মহানগরীর ০৬ নং ওয়ার্ড এলাকাবাসীর মধ্যে স্কুল শিক্ষক নিজামুদ্দিন বলছেন – দীর্ঘ পাঁচ বছর কাউন্সিলর হিসেবে টুকু দায়িত্ব পালনকালে ০৬ নং ওয়ার্ডে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি উন্নয়ন করে চলেছেন। উন্নয়নের মধ্য দিয়ে দলমত নির্বিশেষে পুরো ওয়ার্ডবাসীর আস্থা অর্জন করেছেন তিনি। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমেও জড়িত বলে রাজশাহী মহানগরীতে অতি সজ্জন হিসেবেও পরিচিতি তিনি। প্রকৃতপক্ষে হিংসা বিদ্বেষহীন মানবিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যেই দলীয় সমর্থন নিয়ে আবারও নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক সাড়াও পাচ্ছেন কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকু ।
একই ওয়ার্ডের পঞ্চাশোর্ধ রিক্সাচালক মালেক বলেন- আমাদের টুকু ভাই আমাদের কাছে কাউন্সিলর নয় বরং ভাই হিসেবেই আমরা চিনি ও জানি। রাত হোক আর দিন যখনই যোগাযোগ করি তখনই তাকে পাই। তার বড় ভাইয়ের মত তিনিও আদর্শবান ব্যাক্তি।
তবে গেল বছর একটি ছবি ভাইরাল হয়েছিল এই কাউন্সিলরের। ঐ ভাইরাল ছবিতে দেখা যায়, একজন স্কুল শিক্ষার্থী বৃষ্টির মধ্যে রিক্সার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু এ সময় কাউন্সিলর টুকু নিজ দ্বায়িত্বে স্কুল ছাত্রটিকে তার স্কুটি বাইকে করে পৌঁছে দেন স্কুলে। এ ঘটনায় তিনি যে মানবিক নজীর স্থাপন করেছিলেন তা অনেককেই অনুপ্রাণিত করেছিল।তবুও সংবাদের আশে পাশে জাননি এই কাউন্সিলর। সাংবাদিকরা এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন – নিউজ করার দরকার নেই ভাই প্লিজ। এটা দ্বায়িত্ববোধ থেকেই কাজটা করেছি।
রাজশাহী মহানগরীর ০৬ নং ওয়ার্ড এলাকায় রয়েছে হিজড়া সমাজের সংগঠন। তিনি এই সংগঠন বিষয়ে উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান- হিজড়া আমাদেরই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। তারা এই সমাজ ও দেশেরই সন্তান। তাদের লেখাপড়া শেখাতে হবে। সেইসাথে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, তাদের সাধারণ মানুষের মতো বেঁচে থাকার অধিকার আছে।
এদিকে হিজড়া সংগঠনের নেতা কল্পনা রানী রায় বলেন – কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকু ৬নং ওয়ার্ডের বসবাসরত সকল হিজড়াদের কর্মের ব্যবস্থা করে দেওয়ারও উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
তবে কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকু মনে করেন, সমাজের গণ্যমান্য সকল মানুষকে হিজড়াদের পাশে এসে দাঁড়াতে হবে। সমাজের সকলেই সহযোগিতা করলে হিজড়াদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করা সম্ভব হবে। হিজড়াদের উন্নয়নে সার্বিক সহযোগীতা করে যাচ্ছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন।
নির্বাচনে জয়ী হয়ে এলাকায় কী পরিবর্তন আনবেন জানতে চাইলে কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকু উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, গেল ৫ বছরে আমি ০৬ নম্বর ওয়ার্ডকে একটি ডিজিটাল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলতে পেরেছি কিনা জানিনা তবে চেস্টা চালিয়ে গেছি। শিক্ষা-সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধন এবং তরুণ-যুবকদের মাদক থেকে ফিরিয়ে কর্ম ও শিক্ষামুখী করতে নিজ দ্বায়িত্ব থেকে চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
তবে গণসংযোগে কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকু এবারও ব্যাপক জনসমর্থন পাচ্ছেন বলে দাবি তার সমর্থকদের। প্রতিদিনই ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করে ওয়ার্ডবাসীর কাছে ভোট ও দোয়া চাচ্ছেন তিনি।
Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.
Subscribe to get the latest posts sent to your email.