Rajshahi_kishor_gang_News
রাজশাহী এয়ারপোর্ট এলাকায় কিশোর গ্যাং এর মূলহোতা আনেসের হামলায় জামাই শশুর গুরুতর আহত

রাজশাহী এয়ারপোর্ট এলাকায় কিশোর গ্যাং এর মূলহোতা আনেসের হামলায় জামাই শশুর গুরুতর আহত

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: রাজশাহী এয়ারপোর্ট থানাধীন বায়া বারইপাড়া এলাকায় হাঁসুয়ার আঘাতে ক্ষত বিক্ষত ও রক্তাক্ত  হয়েছেন সোহেল রানা ও মিজানুর রহমান নামের ২ ব্যাক্তি । সোহেল রানা পেশায় একজন মটরসাইকেল মিস্ত্রী এবং মিজানুর রহমান  একজন কাঠ মিস্ত্রি। তারা পরস্পর শ্বশুর ও জামাই।

 

 

সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২৬/০৩/২০২৪ ইং তারিখ অর্থাৎ  মঙ্গলবার বিকাল আনুমানিক ৫.৩০ মিনিটে শাহিনের সাথে তারই প্রতিবেশী হাশেম আলীর সাথে বাড়ি নির্মান করা কেন্দ্রিক বাক বিতন্ডা শুরু হয়। বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে আরেক প্রতিবেশী মিজান উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার করার জন্য এগিয়ে আসেন।  কিন্তু উভয় পক্ষের মিমাংসার জন্য এগিয়ে আসা মিজানের উপর চড়াও হয় শাহিন। এসময় শাহিন লাঠি নিয়ে মারার জন্যে মতো মিজানের দিকে তেড়ে আসলে মিজান সেখান থেকে চলে যায়। 

 

পরবর্তীতে ১০ মিনিট পর মিজান ও তার জামাই সোহেল ইফতার কেনার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে বারইপাড়া বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথিমধ্যে গতিরোধ করে শাহিন ও স্কুলপাড়ার এলাকার জমির দালাল ও কিশোর গ্যাং এর মূল হোতা আনেস। 

 

এসময় কিশোর গ্যাং এর মূল হোতা আনেস ও শাহিন প্রতিবেশী মিজানকে হাসুয়া দিয়ে মারার জন্য এগিয়ে গেলে মোটরসাইকেলে থাকা  জামাই সোহেল তার শ্বশুর মিজানকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসলে প্রথমে রড দিয়ে মেরে মিজানের হাত ভেঙ্গে দেয় এবং পরবর্তীতে হাঁসুয়া দিয়ে কোপাতে থাকে। উক্ত সময় মিজানকেও রড দিয়ে মারতে মারতে আহত করে কিশোর গ্যাং এর মূল হোতা আনেস ও শাহিন।

 

এসময় এলাকার স্থানীয় লোকজন উপস্থিত হলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় কিশোর গ্যাং এর মূল হোতা আনেস ও শাহিন। পরবর্তীতে স্থানীয় ব্যাক্তিরা গুরুতর আহত অবস্থায় সোহেল ও মিজানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে গুরুতর আহত সোহেল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নং ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন সোহেল।

 

তবে সার্বিক বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৬ নং ওয়ার্ডের কর্তব্যরত  চিকিৎসক ডা: ওয়াহেদ  বলেন – সোহেলের বাম হাতের কয়েকটি অংশ ভেঙ্গে গেছে এছাড়াও হাঁসুয়া দিয়ে আঘাতের কারনে মাংসপেশিতে ১০/১২ টি সেলাই করা হয়েছে। তবে সোহেলের শরীরের অন্যান্য জায়গাতেও ক্ষত বিক্ষতের দাগ রয়েছে।

 

এদিকে অনুসন্ধানে জানা যায়,  কিশোর গ্যাং এর মূল হোতা আনেস এলাকায় সন্ত্রাস কায়েম করে চলেছেন।  বিপথগামী কিশোররা এলাকায় মাদক ব্যবসা, মাদক সেবন, চাঁদাবাজি এমনকি হত্যার মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। এই কিশোর গ্যাং গ্রুপগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে কিশোর গ্যাং এর মূল হোতা আনেস ও শাহিন।। যারা থানা ও ওয়ার্ডে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পদধারী। পর্দার আড়ালে থেকে রাজশাহী এয়ারপোর্ট এলাকায় আনেস ও শাহিনের মতো গডফাদাররা এখন কিশোর গ্যাং গ্রুপকে পরিচালনা করছে।

 

ঘটনার বিষয়ে  রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান – মিজান ও সোহেলের বিষয়টি শুনেছি। তবে কেউ অপরাধ করে পার পাবে না। আমি নিজেও কিশোর গ্যাং-বিরোধীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। এসব বন্ধের জন্য কাজও করছি। আহতরা অভিযোগ দিয়েছে। খুব শিঘ্রই আসামীদের আইনের আওতায় আনা হবে।


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.