Rajshahi_Kakonhat_Mayor
রাজশাহীর কাঁকনহাট পৌর মেয়র আতাউরের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য ও দূর্নীতির অভিযোগ

রাজশাহীর কাঁকনহাট পৌর মেয়র আতাউরের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য ও দূর্নীতির অভিযোগ

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন ::  রাজশাহীর কাঁকনহাট পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান খানের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও এর আগের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় লক্ষ লক্ষ টাকা  নিয়েছেন মেয়র আতাউর।

 

 

 

রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন এক নারী। ওই নারীর নাম সানজিদা শেখ। তিনি পৌরসভার সহকারি কর আদায়কারী পরে আবেদন করেন।

 

সানজিদা শেখ অভিযোগে লেখেন, গত ১৩ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় কাঁকনহাট পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। পৌরসভায় ছয়জন বিভিন্ন পদে কর্মচারী নিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়। নিয়মনুয়ায়ি সহকারী কর আদায়কারী পদে আবেদন করি। চাকরির আবেদনের শেষ সময় ছিল গত ৩ ডিসেম্বর। নিয়োগের বিষয়ে কথা বলার জন্য মেয়র একেএম আতাউর রহমান খানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সব পদে লোক নির্বাচন হয়ে গেছে। এখন আর নেওয়া হবে না। পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম ও মেয়র একেএম আতাউর রহমান খান যোগসাজস করে প্রার্থীদের কাছে টাকা নিয়ে দ্রুত নিয়োগ পরীক্ষা দেন তারা। আগামী ২৯ ডিসেম্বর এই পদগুলোর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

 

ভুক্তভোগী সানজিদা শেখ গনমাধ্যম কর্মীদের দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, বিজ্ঞপ্তিতে ১ নম্বর স্যানিটারী ইন্সপেক্টর পদের জন্য পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার নিজস্ব প্রার্থী যার নাম জানতে পারা যায়নি। ২ নম্বর স্টোর কিপার পদের জন্য মেয়রের নাতি শিহাব উল্লাহ, ৩ নম্বর সহকারী কর আদায়কারী পদের জন্য মহসিনা আক্তার, ৪ নম্বর সার্ভেয়ারর পদের জন্য ইফতেহাদ আহম্মেদ স্বপন, ৫ নম্বর নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে হিমেল, ৬ নম্বর অফিস সহায়ক পদের জন্য মেহেদী হাসানকে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হয়। সানজিদা শেখ তার অভিযোগে তদন্ত করে সঠিক ভাবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দাবি জানান।

 

এদিকে সানজিদা শেখের বাবা কাঁকনহাট পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও প্যানেল চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা শেখ উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের প্রতিবেদককে জানান, পৌর মেয়র টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিচ্ছেন। তার নাতিও আছে এই নিয়োগে। প্রতিটি প্রার্থীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই এই টাকা নেওয়া হয়েছে।পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা একজন দুর্নীতিবাজ মানুষ। তিনি এর আগে বিভিন্ন পৌরসভার দায়িত্ব পালন করেছেন। সেখানেও তিনি নিজের প্রার্থীদের নিয়োগ দিয়েছেন। এখানেও তার কাছের মানুষকে নিয়োগ দিচ্ছেন। সঠিক তদন্ত করলে তার নিয়োগ বাণিজ্যর চিত্র উঠে আসবে।

 

 

 

সার্বিক বিষয়ে কথা বলার জন্য পৌর মেয়র একেএম আতাউর রহমানকে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। 

 

 

রাজশাহী গোদাগাড়ীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম বলেন, কাঁকনহাট পৌরসভার নিয়োগ নিয়ে একটি অভিযোগের অনুলিপি পাওয়া গেছে। অভিযোগটির সার্বিক বিষয় দেখবেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক। তিনি যা নির্দেশনা দেবেন আমরা তাই ব্যবস্থা নেবো।


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.