রোববার রাত ১২ টায় রাজশাহী কলেজের ওই শিক্ষার্থী মামলার এজাহারে জানিয়েছেন, গত বছর স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হলে তিনি তালাকের জন্য মেয়রের সঙ্গে দেখা করেন। সেই সূত্র ধরে মেয়র মামুন তার দায়িত্ব নেয়া ও চাকরি দেয়ার প্রলোভনে বিভিন্ন স্থানে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
মামলা দায়েরের পর পুলিশের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে গত সোমবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়।এ ছাড়াও গত বছরের শুরুতে দুর্গাপুরের বাসিন্দা এক হাসপাতালের সেবিকা মেয়র মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছিলেন। যদিও অভিযুক্তের পরিবারের দাবি করছে, সে মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।
বরগুনার পুলিশ সুপার আবদুস ছালাম উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে বলেন, ‘রাজশাহী পুলিশের পক্ষ থেকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ওভার ফোনে পুঠিয়ার মেয়র আল মামুন খানকে গ্রেফতারের অনুরোধ করা হয়। আমাদের পুলিশ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতারে সক্ষম হয়েছেন। রাজশাহীর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসলে আল মামুনকে হস্তান্তর করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার (৪ সেপ্টম্বর) দিবাগত রাতে এক নারী (২৪) পুঠিয়া থানায় আল মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। সোমবার সকালে অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। ওই নারীর বাড়ি পুঠিয়া সদর এলাকায়। মেয়র আল মামুন গন্ডগোহালী গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত এক বছর আগে পুঠিয়া পৌরসভায় একটি চাকরির জন্য মেয়রের কাছে যান ওই নারী। এরপর তাকে ধর্ষণ করেন। বিয়ের কথা বলে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করেন আল মামুন। পরে বিয়ে করবেন না বলে জানান। প্রতিবাদ করায় প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ কারণে ভুক্তভোগী মামলা করেছেন।
[embed]https:\/\/preview-xupnewsc.uttorbongoprotidin.com//preview-xupnewsc.uttorbongoprotidin.com//www.youtube.com/watch?v=oO9wX8CnCeY[/embed]
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com