প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ১৮, ২০২৪, ১০:৩৬ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ১১, ২০২২, ৩:০৯ অপরাহ্ণ
তালাকে শীর্ষে রয়েছে রাজশাহী
নিজস্ব প্রতিবেদক, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: তালাক শব্দের আভিধানিক অর্থ বন্ধনমুক্ত করা। শরীয়তের পরিভাষায় স্ত্রীকে বিবাহ বন্ধন থেকে মুক্ত করা। তালাক দেয়ার অধিকার পুরুষের অর্থাৎ স্বামীর। আর স্ত্রীর অধিকার খুলা করার। খুলার আভিধানিক অর্থ খসিয়ে নেওয়া, টেনে বের করে ফেলা। আর শরীয়তের পরিভাষায় স্বামীকে কিছু মাল দিয়ে নিজকে স্বামীর বিবাহ বন্ধন থেকে মুক্ত করে নেয়া। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে : ‘তবে তাদের উপর কোনো গুনাহ হবে না যদি স্ত্রী স্বামীকে মাল দিয়ে নিজকে ছাড়িয়ে নেয়’। সূরা বাকারা : ২২৯ তাছাড়া স্বামীর অর্পিত ক্ষমতাবলেও স্ত্রীর তালাক দেয়ার ক্ষমতা আছে।পারিবারিক জীবনের মূল ভিত্তি হচ্ছে একজন নর ও একজন নারী। এই দুজনের মধ্যে গভীর সম্পর্ক স্থাপিত হয় বা একে অপরের জীবন সাথী হিসেবে জীবন যাপনের ব্যবস্থা করা হয় বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে। উভয়ের সুখ-শান্তি নির্ভর করে পারস্পরিক মত বিনিময় ও দৈনন্দিন জীবনের কার্যকলাপের মধ্যে উভয়ের আচার-আচরণ ও পারস্পরিক চাহিদার ভিত্তিতে দেয়া-নেয়ার মাধ্যমে। সাংসারিক জীবনের উভয়ের দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধের উপর নির্ভরশীল স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনের সুখ-শান্তি। কিন্তু যদি উভয়ের প্রতি উভয়ের দায়িত্ব-কর্তব্য পালনের অবহেলা দেখা দেয় বা একে অপরের মতের সাথে একমত না হয় একে অপরের আচরণের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে না পারে। যার কারণে উভয়ের দাম্পত্য জীবনের সুখ-শান্তির পরিবর্তে অশান্তি-বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। পারছে না তারা সুখের নীড় রচনা করতে, এমতাবস্থায় বা অন্য কোনো কারণে যদি কেউ বিবাহ বিচ্ছেদ কামনা করে, তাহলে ইসলাম সে ব্যবস্থা করেছে তালাক বা খুলার মাধ্যমে। যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটার আশঙ্কা দেখা দেয়, তা হলে যুক্তিসঙ্গত নিয়মে বিবাহ-বিচ্ছেদের জন্যে তালাক বা খুলার বিধান রাখা হয়েছে। তালাক দেবার অধিকারী হচ্ছে একমাত্র স্বামী। আর খুলা ব্যবস্থার মাধ্যমে স্ত্রী নিজেকে বিবাহ বন্ধন থেকে মুক্ত করতে পারে। প্রাপ্তবয়স্ক স্বামী তালাক দিলে সে তালাক কার্যকরী হবে। কোনো অপ্রাপ্ত বয়স্ক বা পাগল স্বামী তালাক দিলে তা কার্যকরী হবে না।
জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী সারাদেশে বিবাহ বিচ্ছেদ বা তালাকে শীর্ষে রয়েছে রাজশাহী। বিআইসিসি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রকাশিত ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন থেকে এইসব তথ্য জানা গেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা আট কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারীর সংখ্যা আট কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১২ হাজার ৬২৯ জন। কোন কোন বিভাগের বৈবাহিক অবস্থা কেমন এই তালিকায় গিয়ে দেখা যায়, রাজশাহী বিভাগে ৬৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ মানুষ বর্তমানে বিবাহিত। যা অন্য বিভাগের তুলনায় বেশি। অপরদিকে, এই বিভাগে বিবাহ বিচ্ছেদ বা তালাকের সংখ্যাও সর্বাধিক, শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৯৮ জন পুরুষের বিপরীতে ১০০ জন নারী। ১০ থেকে তার বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে ২৮ শতাংশ অবিবাহিত ও ৬৫ শতাংশ বিবাহিত। ৯১ দশমিক ৪ শতাংশ মুসলমান এবং ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ হিন্দু। সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধিতার হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, দেশের ১১ কোটি ৩০ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৭ জন গ্রামে এবং পাঁচ কোটি ২০ লাখ নয় হাজার ৭২ জন শহরে বাস করেন। এছাড়া দেশে ৫৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ মানুষ মোবাইল এবং ৩০ দশমিক ৬৮ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন Google Business And Google News Verified একটি প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালে উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন উইকিপিডিয়ার নিবন্ধনভুক্ত হয়।২০২১ সালে উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন Trusted Site Certificate এবং DMCA সার্টিফিকেট পায়।