রাজশাহীতে গোদাগাড়ীর মাছচাষী মাসুদ রানা হত্যার রহস্য উদঘাটন
রাজশাহীতে গোদাগাড়ীর মাছচাষী মাসুদ রানা হত্যার রহস্য উদঘাটন

রাজশাহীতে গোদাগাড়ীর মাছচাষী মাসুদ রানা হত্যার রহস্য উদঘাটন

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক। উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: রাজশাহী গোদাগাড়ীর মাছ চাষী মাসুদ রানা (৩৯) হত্যার রহস্য উদঘাটন করে চারজনকে গ্রেফতার করেছে গোদাগাড়ী থানা এবং জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার দল। এদের মধ্যে তিনজন আদালতে স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।বৃহস্পতিবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যেমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার সদর ইফতে খায়ের আলম।

আসামিরা হলো, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ভোলার পালশা গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে আবদুল লতিফ (৪০), নওগাঁ সদর উপজেলার ফারাদপুর গ্রামের মৃত মন্টু ওরফে বসির খাঁ’র ছেলে রেজাউল ইসলাম (৫০), দক্ষিণপাড় নওগাঁ গ্রামের ফসির উদ্দিনের ছেলে আবদুল করিম ওরফে জনি (২৫) এবং আরজি নওগাঁ নাপিতপাড়া গ্রামের মৃত দুলালের ছেলে মো. শাহীন (৩৪)।

গত ৩০ আগস্ট গোদাগাড়ী থানার রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়ক সংলগ্ন গোগ্রাম ইউনিয়নের লালাদিঘি গ্রামের একটা পুকুরে মাসুদ রানাকে খুন করে মাছ চুরি করে নেয়ার ঘটনা ঘটে। এর প্রেক্ষিতে গোদাগাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। অবশেষে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে আটক করা হয়।

এদের মধ্যে রেজাউল ইসলাম, আব্দুল করিম ওরফে জনি ও শাহীন বৃহস্পতিবার আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে। পুলিশ জানায়, তারা পেশাদার মাছ চোর। রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া ও জয়পুরহাটের বিভিন্ন পুকুরে মাছ চুরি করা তাদের পেশা। ছোট ট্রাক নিয়ে তারা ঘুরে বেড়ায় এবং সুবিধামতো স্থানে মাছ চুরি করে থাকে।

পুলিশ জানায়, ঘটনার রাতে তারা নয়জন একটা মিনিট্রাকে করে নওগাঁর ফারাদপুর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে গোদাগাড়ীতে আসে মাছ চুরি করতে। অপ্রত্যাশিতভাবে মাসুদ রানা ও লিটনকে পেয়ে তাদের বেধে ফেলে। এতে মাসুদ রানা মারা যায়। আর মাছ ধরা শেষ হবার আগেই লোকজন চলে এলে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকি আসামিদের ধরার জন্য অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানিয়েছেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র।

 


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.