Rajshahi District Chhatra League general secretary Ami has been accused of torturing another student
রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অমির বিরুদ্ধে আরেক ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ

রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অমির বিরুদ্ধে আরেক ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন ::  রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমি এক কলেজ ছাত্রকে রাতভর আটকে রেখে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) হতে না চাওয়ায় জাকির হোসেন অমি ঐ ছাত্রকে এই নির্যাতন চালান বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

পরে ৫০ হাজার টাকা চুরির স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয়েছে ওই ছাত্রকে। তার এই স্বীকারোক্তির ভিডিও ধারণ করে রাখা হয়েছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কাজী নুরুন্নবী হোস্টেলে এ ঘটনা ঘটে। এই হোস্টেলেই থাকেন ছাত্রলীগ নেতা জাকির হোসেন অমি।

দেশ বিদেশের সর্বশেষ খবর পড়ুন উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের গুগল নিউজ চ্যানেলে

নির্যাতনের শিকার কলেজ ছাত্রের নাম মিলন হোসেন (১৯)। জেলার পুঠিয়া উপজেলার শিবপুরহাটে তার বাড়ি। বাবার নাম মো: আলমগীর হোসেন। ভুক্তভোগী মিলন এইচএসসি পরীক্ষার্থী। নির্যাতনের শিকার হয়ে রোববার থেকে মিলন পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা পুঠিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

 

 

রাজশাহী পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সোহরাওয়ার্দী বিষয়টি উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তদন্ত করে এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

 

 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মিলনের বাবা আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমির পিএ হিসেবে চাকরি দেয়ার কথা বলে গত বৃহস্পতিবার তার ছেলে মিলনকে কাজী নুরুন্নবী হোস্টেলে নিয়ে যায় পুঠিয়া ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। 

 

রাতে ওই হোস্টেলে মদ্যপান ও উচ্ছৃঙ্খল পরিবেশ দেখে মিলন সকালে বাড়ি ফিরে যান। জানিয়ে দেন, তিনি চাকরি করবেন না। কিন্তু যারা মিলনকে নিয়ে যান, তাদের বারবার ফোন করতে থাকেন ছাত্রলীগ নেতা অমি।

 

আলমগীর উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে আরো জানান, পরদিন শুক্রবার রাতে আবার মিলনকে ওই হোস্টেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একটি কক্ষে ঢুকিয়ে অমি বলেন, মিলন হোস্টেল থেকে ৫০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছেন। এই টাকা তাকে দিতে হবে। এ সময় মিলন টাকা চুরির অভিযোগ অস্বীকার করেন। তখন অমিসহ ১০-১২ জন মিলনকে ঘুষি মারতে থাকেন। পেটানো হয় ব্যাট দিয়ে। রাতভর এমন নির্যাতন চলতে থাকে। এক পর্যায়ে বালিশের নিচ থেকে অস্ত্র বের করে মিলনকে দেখানো হয়। 

 

 

অমি মিলনকে ভয় দেখিয়ে বলেন, তোকে মেরে ফেললে কেউ দেখবে না। প্রাণে বাঁচতে চাইলে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার কর। প্রাণ বাঁচাতে মিলন স্বীকারোক্তি দেন। তখন তার কথা ভিডিও করা হয়। এরপর ভোর ৪টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

 

 

ছেলের দেয়া বর্ণনা অনুযায়ী আলমগীর হোসেন জানান, অমি মিলনকে ভয় দেখিয়ে বলেন, কেউ জিজ্ঞেস করলে সে যেন বলে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে। শনিবার সকালে মিলন বাড়িতে গিয়ে সে কথাই বলেন। তবে শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে পরদিন তিনি নির্যাতনের কথা জানান। এরপরেই তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। মিলনের বাবা এ ঘটনার সঠিক তদন্ত ও নির্যাতনকারীদের বিচার দাবি করেন।


 


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.