rajshahi-citys-various-fish-markets-cover-poisonous-jelly-shrimps
বিষাক্ত জেলী মেশানো চিংড়ীতে সয়লাব রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন মাছের বাজার

বিষাক্ত জেলী মেশানো চিংড়িতে সয়লাব রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন মাছের বাজার

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: রাজশাহী সাহেব বাজার থেকে চিংড়ী মাছ কিনেছেন পঞ্চাশর্ধ  আব্দুল খলিল। তিনি পেশায় একজন ডাক্তার। আব্দুল খলিল  উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে জানান , চিংড়ি কিনে বাসায় আনার পর কাটলে বোঝা যায় না যে ভেতরে কিছু একটা রয়েছে। কিন্তু অনেক সময় না জেনেই সেটা আমরা খেয়ে ফেলি। এটা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। শুধু তাই নয় বরং ফুড পয়জনিং হয়ে যে কেউ যে কোন সময় মৃত্যু বরন করতে পারেন।

 

 

রাজশাহী সাহেব বাজারে বাজার করতে আসা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক নুরুল জানান – গত সপ্তাহে চিংড়ি মাছ কিনেছিলাম। এরপর খাওয়ার পরই আমার পরিবারের সবাইকে  ফুড পয়জনিং এর শিকার হতে হয়।

 

তবে জেলার খাদ্য ও পুষ্টিবিদরা বলছেন, চিংড়ি মাছের ভেতরে যে জেলি পাওয়া যায় তা পুরোটাই প্লাস্টিক। এছাড়া সাগু বা অনেক সময় সাদা পাথর এবং ধাতব পদার্থও পাওয়া যায়। আর এগুলো খেলে কিডনি ও পাকস্থলীর জটিলতা তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন পুষ্টিবিদরা। তারা আরোও জানান পাথর এমনিতেই হজম হয় না। সেটা পাকস্থলীতে গিয়ে জমে থাকে। যার কারণে এক ধরনের অস্বস্তি এবং পাকস্থলীর প্রদাহ তৈরি করে।

 

এদিকে গেল ২৪/১২/২২‌ তা‌রি‌খে রাজশাহী মহানগরীর সা‌হেব বাজা‌রে এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা-অ‌ধিকার সংরক্ষণ অ‌ধিদপ্ত‌র, রাজশাহী জেলা কার্যাল‌য়ের সহকারী প‌রিচালক  মাসুম আলী ।  তদার‌কি মূলক অ‌ভিযানের অংশ  হিসেবেই মূলত এই অভিযান প‌রিচা‌লিত হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত অ‌ভিযা‌নে সহকারী প‌রিচালক মাসুম আলী রাজশাহী সাহেববাজার মাছপট্টি এলাকায় সেলিম নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর কাছে চিংড়ী মাছ কিনতে গেলে মাছ ব্যবসায়ী সেলিম নামের এক মাছ ব্যবসায়ী জেলীযুক্ত চিংড়ী মাছ বিক্রয় করেন। 

 

 

এরপর পরই হাতে নাতে ধরে ফেলেন সহকারী প‌রিচালক  মাসুম আলী। রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার এলাকার  এই মাছ ব্যবসায়ী সেলিম আরোও স্বীকার করেন যে, রাজশাহীর মহানগরীর বিভিন্ন মাছের আড়তে তিনি জেলীযুক্ত চিংড়ী মাছ সাপ্লাই করে আসছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে   উক্ত অ‌ভিযা‌নে জে‌লিযুক্ত চিং‌ড়ি মাছ বিক্রয় করায় সে‌লিমকে  ১০,০০০/-জ‌রিমানা করা হয়  ও জে‌লিযুক্ত চিং‌ড়ি মাছ ধ্বংস করা হয়।  মূলত ওজন বাড়ানোর জন্যই বিক্রেতারা এমনটা করে বলে জানান মাসুম আলী।

 

 

চিংড়ি ছাড়াও সাদা পোয়া মাছ লাল করতে লাল রং এবং শিং মাছের রং প্রাকৃতিক বানাতেও এগুলোর সাথে রং মিশ্রিত করা হয় বলে জানান রাজশাহী জেলার মৎস্য কর্মকর্তারা।


 


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.