তবে গত জানুয়ারী মাসে রাজশাহীর পুঠিয়ায় অবৈধভাবে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করার দায়ে তিনজনকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল ভ্রাম্যমাণ আদালত। সারাদিনব্যাপী শিলমাড়িয়া ইউনিয়নে মলঙ্গপাড়া, কুশপাড়া, কাজুপাড়ার বিলে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও পুঠিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ বসাক ও পুঠিয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার এ.কে.এম.নূর হোসেন নির্ঝর।
কিন্তু এরপরও থেমে থাকছেনা পুকুর খনন। জানা গেছে রাজশাহী পুঠিয়া ও তাহেরপুর এলাকার স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল লতিফ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে জমির মালিক ও কৃষকদের ভয় দেখিয়ে পুকুর খনন চালিয়া যাচ্ছেন । তবে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল লতিফ চিট বাটপার বলে এলাকায় পরিচিত। এছাড়াও তার নিজের জামাই বলে খ্যাত শামীম নামের এক ব্যাক্তি ক্যাডার বাহিনীর কাজ করে থাকেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়া। ক্যাডার শামীম কৃষকদের জিম্মি করেই পুকুর খনন চালিয়ে যাচ্ছেন।
সার্বিক তথ্য যাঁচাইয়ের জন্য আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল লতিফের 01738346518 নাম্বারে ফোন দিলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পাওয়া মাত্র ফোন কেটে দিয়ে তা বন্ধ করে দেন। এরপরে জামাই বলে খ্যাত ক্যাডার শামিমের 01717204321 নাম্বারে ফোন দিলে তিনিও ফোন ধরেননি।
সরেজমিন সার্বিক বিষয়ে অনুসন্ধানে গেলে রশীদ নামের একজন কৃষক জানান, যেখানে পুকুর খনন হচ্ছে ওই জমিতে পিয়াজ রোপণ করেছি। কিন্তু পুকুর খননকারীরা নানাভাবে চাপ দিচ্ছে। স্বেচ্ছায় জমি না দিলে জোর করে পুকুর খনন করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। এছাড়াও আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল লতিফ তার নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী দিয়ে হয়রানী করা চেস্টা করছে।
অন্যদিকে পুঠিয়া উপজেলার বিলমাড়িয়া এলাকার কৃষক মোমিন জানিয়েছেন বিলমাড়িয়া বিলের ইটের ভাটার পাশে অন্যন্য কৃষকের জমি জোরপুর্বক দখল করে পুকুর খনন করছেন রাজশাহী পুঠিয়া বাজারের স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান। ম্যানেজার রিপন কৃষকদের ভয় ভীতি দেখিয়ে পুকুর খননের জন্য জমি দখল করেই চলেছেন।
এদিকে রাজশাহী পুঠিয়া বাজারের স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পুকুর ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নানের 01709016641 নাম্বারে যোগাযোগ করলে তিনিও ফোন কেটে দেন। এরপরে আব্দুল হান্নানের ম্যানেজার রিপনের 01709016650 নাম্বারে বারংবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
শুধুমাত্র পুঠিয়ার শিলমাড়িয়া ও বিলমাড়িয়া এলাকায় রাতের আঁধারে প্রায় ৩টি পুকুর খনন চলছে।তবে স্থানীয়রা জানিয়েছে রমজান মাস শুরুর পর থেকে তারাবীর নামাযের কিছুক্ষন পর থেকে সেহেরী পর্যন্ত পুকুর খনন চলছে।
তবে সার্বিক বিষয়ে রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার এ.কে.এম.নূর হোসেন নির্ঝর সাফ জানিয়ে দিয়েছেন - গেল কয়েক মাসে পুকুর খননের বিষয়টি আমরা জানা মাত্রই সেখানে অভিযান চালিয়েছি। রাতের আঁধারেও অনেকেই পুকুর খননের চেষ্টা করছেন। কিন্তু আমি অভিযান চালিয়ে সেগুলো বন্ধ করছি। ভ্রাম্যমান আদালতও পরিচালনা করে জরিমানা ও কারাদণ্ড দেয়া হচ্ছে। আমি পুঠিয়ায় থাকা অবস্থায় কৃষি জমিতে কোনো ধরনের পুকুর খনন করতে দেবো না।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com