নিজস্ব প্রতিবেদক, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে সতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ আক্তারুজ্জামান আকতার তার নির্বাচনি প্রচারনায় দলীয় প্রর্থী সমর্থক গোষ্ঠী কর্তৃক বাধাগ্রস্ত ও লাঞ্চিত হওয়ার প্রতিবাদে আজ রোজ শুক্রবার ০৭-১০-২২ ইং তারিখে রাজশাহী কোর্ট ঢালুর মোড় লোটাস কমিউনিটি সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন, এবং উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে তার প্রতি হুমকি ধামকি ও লাঞ্চিত হওয়ায় প্রতিবাদ জানায়।
নিম্নে তার লিখিত বক্তব্যে হুবহু তুলে ধরা হলোঃ-
আসসালামু আলাইকুম, আমি আখতারুজ্জামান আখতার জেলা পরিষদ নির্বাচন রাজশাহী চেয়ারম্যান প্রার্থী । আমার প্রতীক মোটরসাইকেল । রাজশাহী জেলাধীন স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার প্রতি বিশ্বাস রেখে আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহন করছি । আজ আমি আপনাদের সামনে অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে , রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নের শুরু থেকেই নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচার অভিযানে অংশগ্রহণ করছি ।
প্রতীক বরাদের পর তা আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে । নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় আমিসহ আমার পক্ষের নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত হুমকি , মামলা , হামলার শিকার হচ্ছে । অপরদিকে ভোটারদের উপর আমার প্রতিপক্ষের প্রার্থী ও তার নির্বাচনী সহযোগীরা কালো টাকার প্রভাব খাটিয়ে ভোটারদের উপর অবৈধ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে । প্রতিপক্ষের হামলায় গত ৫ তারিখ রাত্রি অনুমানিক সাড়ে ১০ টায় রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় এনপি আয়েন উদ্দিনের উপস্থিতিতে আমাদের প্রচারনা কাজে বাধা সৃষ্টি , নেতাকর্মীদেরকে মারধর করে ইউনিয়ন পরিষদে আটক রেখে এমপি ও চেয়ারম্যান উভয়েই তাদের প্রতি নির্যাতন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে ।
এই সময় মোহনপুর থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন । উপস্থিত হয়ে সেখানে আটক থাকা আমার নির্বাচনের সমস্বরকারী অ্যাড . আবু রায়হান মাসুদসহ অন্যদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় । এই সময়ে আমার নেতাকর্মীদের ব্যবহৃত দুইটি মাইক্রোবাস এমপি ও ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে ভাঙচুর করা হয় । যা নির্বাচনী আইনের সরাসরি বরখেলাপ । পরবর্তীতে থানা থেকে আমরা আমার নির্বাচন সমন্বয়কারীসহ উদ্ধারকৃতদের আমাদের জিম্মায় নিয়ে আসি । ইউনিয়ন পরিষদে আটক অবস্থায় তাদের কাছে রক্ষিত মোবাইল ফোন , টাকাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয় । জেলা পরিষদ নির্বাচন অন্য নির্বাচনের মত নয় । এই নির্বাচনটি স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি দ্বারায় নির্বাচিত হয় । এই নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দীতাপূর্ন ও উৎসবমুখর করার ক্ষেত্রে আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী ও তাদের সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী অন্তরায় ।
রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করার পর থেকেই প্রচার প্রচারণাকালে বেশ কয়েকবার আমার এবং আমার কর্মীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা করা হয়েছে । এর মধ্যে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীতা প্রত্যাহারের জন্য আমাকে নানাভাবে হুমকি ও ভয়ভিতি দেখানো হয় । এরমধ্যে গত ২৯/৯/২০২২ তারিখে দুর্গাপুর পৌরসভায় মেয়র দপ্তরে সম্মানিত ভোটারদের সাথে মতবিনিময়কালে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতা – কর্মীরা আমার উপর হামলা চালায় । এবং দুর্গাপুর থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে । এ সময় উপস্থিত ভোটারদের
হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় । এছাড়াও বাঘা পৌরসভায় প্রচারণাকালে ০২/১০/২০২২ তারিখ প্রতিপক্ষরা দোহায় দিয়ে আমাদের স্থান ত্যাগের জন্য হুমকি দেয়া হয় । প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুরা , আমি ইতিমধ্যেই অবগত হয়েছি , মোহনপুর থানায় অ্যাড . আবু রায়হান মাসুদকে প্রধান আসামী করে প্রায় ১৯ জন নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে । আমি এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি । এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে , এসব ঘটনার বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে রির্টার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে আমি তিনটি অভিযোগ দাখিল করি ।
এর প্রেক্ষিতে রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২২ এর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় হতে পুঠিয়া – দুর্গাপুরের সংসদ সদস্য ডা . মুনছুর রহমান , পবা – মোহনপুরের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন এবং রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে নির্বাচনী প্রচারণা থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেন । তারা সকলেই আমার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করছিলো । রির্টার্নিং কর্মকর্তার চিঠি দেওয়ার পর নির্বাচনী কর্মকান্ড থেকে অন্যরা রিবত থাকলেও সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন নির্বাচনী আইনকে তোয়ক্কা না করে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে ভোটারদেরকে হুমকি , প্রভাব বিস্তারের অন্যায় চেষ্টায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে।
চিঠি পাওয়ার পরও রির্টার্নিং কর্মকর্তাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে । যা নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের সামিল বলে আমি মনে করি । এদিকে , নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নির্দেশনা অমান্য করে প্রচার সংখ্যার কয়েক গুন বেশি পোস্টার , ব্যানার ও ফেস্টুন ছাপিয়ে তা বিভিন্ন স্থানে লাগানো হয়েছে । যা নির্বাচনী আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন । এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে আমার যে সকল পোস্টার লাগানো হয়েছে সেগুলোও তারা প্রতিনিয়ত ছিঁড়ে ফেলছে ।
এ সব ঘটনার পরে আমি প্রার্থী হিসেবে নিজেকে নিরাপদ মনে করছি না । সেক্ষেত্রে অবাধ ও নিরোপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে আমি এবং আমার ভোটারদের নিরাপত্তা বিধানে রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি । এসব ঘটনা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় ।
Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.
Subscribe to get the latest posts sent to your email.