
📌 নিজস্ব প্রতিবেদক । উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় ডাকাতের উৎপাত রোধ, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও মাদক কারবারিদের তৎপরতা নিয়ন্ত্রণসহ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধ দমনে পুলিশের বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট-২’ চালানো হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতভর চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে পুলিশ এই বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৬৪ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে ৮ জন চিহ্নিত ডাকাত রয়েছে।
স্থানীয়রা উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে জানান, কয়েক মাস ধরেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় বেড়েছে ডাকাতের উৎপাত। তাদের উৎপাতে অতিষ্ঠ মানুষ। পথেঘাটে প্রায়ই ঘটে ডাকাতি-ছিনতাইয়ের ঘটনা। এসব অপরাধ রোধে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয় অপরাধীর সন্ধানে পুলিশের অভিযান। বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় একই সময়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলায় শুরু হয় পুলিশের এই বিশেষ অভিযান।
জানা গেছে, রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহানের নির্দেশনায় আড়াই শ পুলিশ সদস্য এই অভিযান চালান। এই দুই জেলার চিহ্নিত ডাকাত, অস্ত্র ও মাদক কারবারি ধরতে তাদের বাড়ি ও অপরাধ স্পটগুলোতে চলে চিরুনি অভিযান।
এ বিষয়ে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পর্যায়ক্রমে বিভাগজুড়ে এ অভিযান চলবে। শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত চলা অভিযানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ৪১ জন ও নওগাঁ থেকে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে ১১ জন চিহ্নিত ডাকাত। সন্ত্রাসবিরোধী কার্যকলাপে ৩ জন, বিস্ফোরক আইনে একজন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় ১৮ জন, চিহ্নিত চোর ৭ জন, নিয়মিত মামলার ১১ জন, মাদক কারবারের ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় পুলিশ উদ্ধার করেছে ধারালো দেশীয় অস্ত্র ১৫টি, ইয়াবাসহ নেশাজাতীয় বড়ি ১২০টি, চোলাই মদ ৪৬ লিটার, গাঁজা ৪৫০ গ্রাম।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম রেজা বলেন, অভিযানে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪১ জনকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৯ নভেম্বর পদ্মার চরে পুলিশ, র্যাব ও এপিবিএন সদস্যরা অপারেশন ফার্স্ট লাইট পরিচালনা করে ৬৭ জনকে আটক করেছিলেন।
