Nursing_and_midwifery_college_Cumilla
কুমিল্লায় ছাত্রীর হিজাব কেটে ফেললেন শিক্ষিকা

কুমিল্লায় ছাত্রীর হিজাব কেটে ফেললেন শিক্ষিকা

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

কুমিল্লা প্রতিনিধি || উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: ২১ জানুয়ারি কুমিল্লার নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের মিরন নাহার নামে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তিন শিক্ষার্থীর হিজাব কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে । 

 

 

ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে কুমিল্লার নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে ওই কলেজের ক্যাম্পাসে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। 

 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, গত ২১ জানুয়ারি নার্সিং কলেজের ২য় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর হিজাব কেটে দেন শিক্ষিকা মিরন নাহার। এসময় শিক্ষার্থীদেরকে হিজাব ছোট করে পড়ার কথা বললে শিক্ষার্থীরা এতে দ্বিমত পোষণ করেন। তবে ওই শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের কোনো কথার তোয়াক্কা না করে বারবার হিজাব কাটার কথা বলেন ও বিভিন্ন হুমকি দেন। 

 

 

দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী লিমা আকতার বলেন, এভাবে যদি আমাদের হিজাব কেটে পড়তে বলা হয়, বা কেটে ফেলা হয় তাহলে মেয়েদের নিরাপত্তা কোথায়? ক্যাম্পাসে আমাদের শালীনতা কীভাবে আমরা বজায় রাখবো?  

 

 

আরেক শিক্ষার্থী জান্নাতুল বলেন, আমাদের প্রথম বর্ষ, দ্বিতীয় বর্ষ এবং তৃতীয় বর্ষ শিক্ষার্থীদেরকে বেল্ট দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। তাই আমরা মেয়েরা যারা হিজাব বড় করে পড়ি তাদের বেল্ট দেখা যায় না। তাই আমাদের হিজাব কেটে দেয়া হয়েছে। আমি বলব বেল্ট দ্বারাই কেন চিহ্নিত করতে হবে, অন্য কোন উপায়ও তো এটা করা যায়। আমি আমাদের ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা চাই। মেয়েরা যাতে শালীনভাবে চলাফেরা করতে পারে এটা চাই।

 

 

একই কলেজের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী মরিয়ম বলেন, আমাদের এই বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

 

 

অন্যদিকে স্থানীয় সূত্রে আরোও জানা যায়, আন্দোলনের এক পর্যায়ে তারা ইন্সটিটিউটের ৬ জন শিক্ষককে কক্ষে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এরপর শুরু করে বিক্ষোভ। এসময় তাদের স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণ।

 

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন কুমিল্লা নার্সিং ইন্সটিটিউটের ২য় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর হিজাব কেটে দেন ইন্সটিটিউটেরই একজন শিক্ষক। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পরদিন আজ সকালে ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

 

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নার্সিং কলেজের সিনিয়র শিক্ষিকা মিরন নাহার উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের প্রতিবেদককে জানান, একজন মুসলিম হিসেবে অবশ্যই আমার এটি করা ঠিক হয়নি। এ বিষয়ে আমি অনুতপ্ত। শিক্ষার্থীদেরকে নিয়মের মধ্যে আনার জন্য আমি এটি করেছিলাম। তবে হিজাব কেটে দেয়া আমার উচিত হয়নি। আমি আমাদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করব। 

 

 

হিজাব কাটার বিষয়ে কুমিল্লা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের নার্সিং ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ আকবরী খানম এর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.