গত সেপ্টেম্বরে রয়টার্সের কাছে কারেনের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের কিছু বিরল ছবি ও ফুটেজ আসে। যেখানে মিয়ানমারের শখানেক তরুণ-তরুণীদের দেখা যাচ্ছে, যাদের বেশিরভাগই ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের আগ পর্যন্ত নেইপিদো, ইয়াঙ্গুন, মান্দালয়সহ বিভিন্ন শহরে চাকরি করতেন। ক্যাম্পে সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে আসা এসব তরুণ-তরুণীরা অভ্যুত্থানের পর হওয়া বিক্ষোভ কর্মসূচিতেও সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন।
কিন্তু, নিরাপত্তা বাহিনী প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করলে তারা উপলব্ধি করেন সামরিক প্রশিক্ষণ ছাড়া জান্তা বাহিনীকে টলানো যাবে না।পিঠে ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির মুখচ্ছবির ট্যাটু আঁকিয়ে নেয়া এক সাবেক ফিটনেস ট্রেনার বলেন, হাতে অস্ত্র তুলে নেয়া ছাড়া এই মুহূর্তে আমাদের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই।
[caption id="attachment_57468" align="alignleft" width="500"] Myanmar's young society is undergoing weapons training in the deep forest[/caption]
ক্যাম্পাসের সাবেক এক প্রশিক্ষক বলেছেন, ৩ লাখ প্রশিক্ষিত সদস্যের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করার কথা ভেবে প্রথমে ভয়ই পেয়েছিলাম। কিন্তু এখন বুঝি যে প্রতিরোধ লড়াই চালিয়ে যাওয়াই জান্তার শাসন থেকে মুক্তির একমাত্র উপায়।
আমার দেশের মানুষকে রক্ষা করতে গিয়ে যদি আমার প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়, তাতে আমার কোনো দুঃখ থাকবে না; বরং এটিই আমার গর্ব।
প্রশিক্ষণের এক আয়োজক বলেন, আমাদের প্রশিক্ষণ দলে শতাধিক তরুণ যোগ দিয়েছেন এবং প্রতিদিনই আরও নতুনরা আসছেন।জঙ্গলে প্রশিক্ষণ নেয়া দল এবং দেশব্যাপী অন্যান্য বেসামরিক ডিফেন্স ফোর্স সম্পর্কে মন্তব্য জানতে সামরিক জান্তা সরকারের মুখপাত্রদের সাথে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। কিন্তু তাদের কেউই মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে মায়ামারের সামরিক জান্তা সরকার কিছুটা হলেও আতংকে আছে বলে জানিয়েছে এক মূখপাত্র।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com