মহানগর প্রতিবেদক, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত নারীর নাম জয়নব বেগম। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

রোববার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত একটার দিকে লক্ষ্মীপুর এলাকার ‘ড্রীম হ্যাভেন’ নামের ওই আবাসিক হোটেলের ৪০৩ নম্বর কক্ষে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

মরদেহ উদ্ধারের পর রাজশাহী রাজপাড়া থানা পুলিশ তার সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে, নিহত নারীর নাম জয়নব বেগম হলেও রোববার সকাল ১০টার দিকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে এক ছেলের সাথে ভিন্ন নামে ওই হোটেলে ওঠেন। 

হোটেলের রেজিস্টার খাতায় ওই নারীর নাম লিখা ছিল জুলেখা। অথচ তিনি নাটোর জেলার সদর থানার নারায়নপুর গ্রামের তসির প্রামানিকের মেয়ে। এছাড়া তার স্বামী পরিচয় দেয়া ব্যক্তির নাম লিখা ছিল মিজান। তাদের দুই জনের বাড়িই রাজশাহীর গোদাগাড়ী উল্লেখ করা হয়েছে। 

তবে ওই নারীর ব্যাগে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি পাওয়া গেছে। সেখান থেকে ওই নারীর আসল পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, হোটেল কক্ষে নারীর মরদেহ পড়ে আছে এমন খবরে গভীর রাতে মহানগরীর লক্ষ্মীপুর ড্রীম হ্যাভেনে যায় পুলিশ। এ সময় তালা ভেঙে ওই কক্ষে প্রবেশ করে। 

এরপর পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। এরপর প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ শেষে ওই নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়।

ওসি আরো বলেন, নিহত নারীর মরদেহ ওই হোটেল কক্ষের খাটের ওপর শোয়ানো অবস্থায় পড়ে ছিল। তবে তার পয়ের কিছু অংশ খাটের নিচে ঝুলে ছিল। আলামত দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

তবে ঠিক কীভাবে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনেই পাওয়া যাবে। স্বামী পরিচয় দেয়া মিজান দুপুর দেড়টার দিকে ৪০৩ নম্বর কক্ষের দরজার বাইরে থেকে তালা দিয়ে চলে গিয়েছে। রাতে তার কথিত স্বামী মিজান না ফেরায় হোটেল কর্মচারীদের সন্দেহ হয়। এরপর তারা রাজপাড়া থানার পুলিশকে খবর দেন।

বর্তমানে মিজান নাম ব্যবহারকারী ওই ছেলেকে শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা হবে বলে জানান রাজপাড়া থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা।