MTFE-Scams-in-Rajshahi
রাজশাহীতে ঘর হারা হচ্ছে গৃহবধূ, টাকা উড়াচ্ছে এমটিএফই সিও সুমি

রাজশাহীতে ঘর হারা হচ্ছে গৃহবধূ, টাকা উড়াচ্ছে এমটিএফই সিও সুমি (ভিডিও)

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: এমটিএফই’র ১১ হাজার কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে রাজশাহীতে দায়ের হওয়া মামলার তদন্তে অগ্রগতি নেই বললেই চলে। ৩৮ দিনেও ওই মামলায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। রাজশাহী অঞ্চলে এই কোম্পানির বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম মামলা হয়। যা উত্যরবঙ্গ প্রতিদিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরপরেই টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের।

 

কিন্তু হাস্যকর ব্যাপার হলেও সত্য যে, যে সকল পুলিশ অফিসার এই এমটিএফই  মামলার তদন্ত করছেন তারা নিজেই নিজের ফেসবুক রিকভার করতে অক্ষম। অর্থাৎ অযোগ্য, অদক্ষ পুলিশ অফিসারদের তদন্তভার দেয়া  হয়েছে  এই মামলা তদন্তে। 

 

যদিও এই মামলার দ্বায়িত্ব দেয়া উচিৎ ছিলো রাজশাহী ক্রাইম সাইবার ইউনিটকে। সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন এই মামলার যৌথ ভাবে তদন্ত করছেন রাজশাহী  রাজপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নূর ইসলাম, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপপরিদর্শক মোস্তাফিন ও রাজশাহী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপপরিদর্শক শিমুল। 

 

এদিকে রাজশাহী  রাজপাড়া থানা পুকুরপাড় এলাকার গৃহীনি আসমাউল হুসনা নামের একজন ভুক্তভোগী জানিয়েছেন,  এমটিএফই’র রাজশাহীর আঞ্চলিক সিও শারমিন আকতার সুমি ও বিভাগীয় পরিচালক আব্দুর রহমান বিপ্লবের মাধ্যমে  প্রথমে ৫ লাখ পরে প্রায় ৮  লাখ টাকা এই অ্যাপে বিনিয়োগ করেছিলেন। তিনি মাস দুয়েক আগে  খানেক আগেই বিনিয়োগ করেন । 

 

গৃহীনি আসমাউল হুসনা গনমাধ্যম কর্মীদের দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান তাঁদের বলা হয়েছিল এই অ্যাপে আড়াই লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে প্রতিদিন ৪৮ ডলার অর্থাৎ  টাকা করে মুনাফা পাওয়া যাবে। প্রথম দিকে অ্যাকাউন্টে ডলার জমা হয়েছে। তিনি ৫০ হাজার টাকা তুলতে পেরেছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে টাকা লেনদেন প্রক্রিয়ায় থিক মত সম্পন্ন করেন এমটিএফই’র রাজশাহীর আঞ্চলিক সিও শারমিন আকতার সুমি ও বিভাগীয় পরিচালক আব্দুর রহমান বিপ্লব।

 

কিন্তু গেল ১ মাস ধরে তাঁরা সবাই পলাতক থাকলেও রাজপাড়া থানাধীন এলাকায় অবস্থান করছেন এমটিএফই’র রাজশাহীর আঞ্চলিক সিও শারমিন আকতার সুমি।  অ্যাপ বন্ধ হওয়ার পরে গত ১৯/০৯/২০২৩ ইং তারিকজ সন্ধ্যায় ৬টার দিকে ভুক্তভোগী লোকজন তাঁদের বাড়ি ঘেরাও করেছিলেন। কিন্তু সেই সময় বাড়িয়ে তাঁরা কেউ বাড়িতে ছিলেন না। কিন্তু এসময় পুলিশকে খবর দিলেও পুলিশ আসেনি। এমনকি পিবিআই কর্মকর্তা এসআই শিমুলকে  ভুক্তভোগী গৃহবধূ আসমাউল হুসনার ভাই ফিরোজ বিষয়টি জানালে তিনি বলেন – অফিসে আসামীকে নিয়ে চলে আসেন আটক করে নিচ্ছি ।

 

এদিকে রাজশাহী  রাজপাড়া থানাধীন পুকুরপাড় এলাকার গৃহীনি আসমাউল হুসনা এখন পর্যন্ত ৫/৭ বার রাজশাহী  মেট্রোপলিটন পুলিশের রাজপাড়া থানাতেও গেলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। 

 

তবে রাজশাহী  রাজপাড়া থানাধীন পুকুরপাড় এলাকার স্থানীয় প্রায়  ৫০ জনের উপর বাসিন্দারা জানান – রাজশাহীতে এমটিএফই মহানগরীর ভেড়িপাড়া মোড়ের ২ তলা একটি অফিস নিয়ে যাত্রা শুরু করে। এই অফিসের দ্বায়িত্ব পান করলে এমটিএফই’র রাজশাহীর আঞ্চলিক সিও শারমিন আকতার ও বিভাগীয় পরিচালক আব্দুর রহমান বিপ্লব। আমাদের সম্মুখে টাকা লেনদেন করেছেন রাজশাহী  রাজপাড়া এলাকার গৃহবধূ আসমাউল হুসনা ও এমটিএফই’র রাজশাহীর আঞ্চলিক সিও শারমিন আকতার সুমি ও বিভাগীয় পরিচালক আব্দুর রহমান বিপ্লব। কিন্রু যখন সারা দেশে এমটিএফই’র নামে মামলা শুরু হয় তার আগেই রাজশাহী  বুলনপুর এলাকার আসমাউল হুসনা মামলা করতে গেলেও অদৃশ্য হাতের ইশারায় মামলাই নেয়নি পুলিশ।

 

অন্যদিকে রাজশাহী  রাজপাড়া থানাধীন পুকুরপাড় এলাকার গৃহবধূ  আসমাউল হুসনার এই ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসীসহ আসমাউল হুসনার আত্মীয় স্বজন। তবে একাধিক এলাকাবাসী জানিয়েছে যদি গৃহবধূ  আসমাউল হুসনার প্রতারনার মামলা অবিলম্বে না গ্রহন করে থানা পুলিশ তবে বাধ্য হয়ে আমাদের নায্য বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে নামতে হবে নতুবা থানার সামনেই অন্বেষণে নামবে আমাদের মেয়ে আসমাউল হুসনা। 

 

 

তবে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মূখপাত্র এডিসি (মিডিয়া) জামিরুল ইসলাম জানান – কোন ব্যাক্তি যদি প্রমান সাপেক্ষে সুনির্দিষ্টভাবে কোন অভিযোগ করেন তবে অবশ্যই এক্ষেত্রে অভিযোগ নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে মামলা নেয়া হবে।  এক্ষেত্রে কোন ভুক্তভোগী আইনগত সহোযোগিতা পাবেননা তা হতে পারেনা। এছাড়া বিভিন্ন প্রতারক চক্রের উপর নজরদারি করছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ। 

 


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.