mtfe-app-fraud-group-arrested
রাজশাহীতে এমটিএফই অ্যাপ চক্রের আঞ্চলিক ২ হোতা গ্রেফতার

রাজশাহীতে এমটিএফই অ্যাপ চক্রের আঞ্চলিক ২ হোতা গ্রেফতার

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

মহানগর প্রতিবেদক, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: এমটিএফই অ্যাপ ব্যবহার করে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা তাদের গ্রেপ্তার করেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে  আসামীদের আদালতে চালান দিয়ে রিমান্ড চাওয়া হলে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। 

 

আলটিমা ওয়ালেট ও এমটিএফই অ্যাপ তদন্তে ৩ সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছে রাজশাহী আদালত

 

এমটিএফই অ্যাপ চক্রের গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে লতিফুর বারী (৪২) ও রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বিষহারা গ্রামের দিজেন্দ্রনাথ সাহার ছেলে দিপেন্দ্রনাথ সাহা (৪৩)। এদের মধ্যে দিপেন্দ্রনাথ মোহনপুর উপজেলার খালমগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

 

 

 

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, এমটিএফই অ্যাপ ব্যবহার করে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে গত ২৩ জুলাই আদালতে একটি মামলা হয়। আদালতের নির্দেশে ওই মামলাটি রাজপাড়া থানায় রেকর্ড করে তিনটি সংস্থা তদন্ত করছে। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আমরা এর সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। আশা করছি খুব দ্রুত তাদের পেয়ে যাব।

 

পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার আরোও বলেন, এমটিএফইর আগে আলটিমা উইলেট নামের আরেকটি অ্যাপ বন্ধ হয়ে যায়। সেখানেও অনেকে প্রতারণার শিকার হয়। এ নিয়ে গত ২৬ জুন বোয়ালিয়া থানার একটি মমলা হয়। সে মামলায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 

গত ১৬ আগস্ট বন্ধ হয়ে গেছে মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ গ্রুপ (এমটিএফই) নামের দুবাই ভিত্তিক এই অনলাইন প্রতিষ্ঠান। এটি অনলাইনে ডেসটিনির মতো এমএলএম ব্যবসা শুরু করেছিল। রাজশাহীসহ সারা দেশে এই প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ও সিইও নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এমটিএফই অ্যাপে বিনিয়োগ নিয়ে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে ২৩ জুলাই আইনজীবী জহুরুল ইসলাম রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন। 

 

এতে ‘এমটিএফই’ ছাড়াও আলটিমা ওয়ালেট অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার কথা উল্লেখ করা হয়। আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমান আর্জিটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য নগরের রাজপাড়া থানার ওসি তদন্তের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনটি সংস্থার তিনজন কর্মকর্তাকে যৌথভাবে এই মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পর দিন মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয়।

 

রাজশাহীতে অনলাইনে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ করলেন যেভাবে রাজমিস্ত্রী মুনায়েম

 

সার্বিক বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের  রাজপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নূর ইসলাম, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপপরিদর্শক মোস্তাফিন ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপপরিদর্শক শিমুল যৌথভাবে মামলাটি তদন্ত করছেন।


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.