শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। শহরের মাদরাসা মাঠে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। পরিবহন মালিক সমিতি ধর্মঘট ডাকায় দুদিন আগে থেকেই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা সমাবেশস্থল ও আশপাশে অবস্থান নিয়েছেন। মাঠেই নেতাকর্মীদের জন্য ভোজের আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে গণসমাবেশ সফল করতে বিভিন্ন জেলা থেকে আগেভাগেই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে মাদরাসা মাঠে জমায়েত হতে থাকেন তারা। সব বাধা উপেক্ষা করে ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এদিকে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, গণসমাবেশের নামে কোনো অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করলে রাজপথে তা প্রতিহত করা হবে।
দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবিতে ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে ৮ শর্তে মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশের অনুমতি পায় দলটি।
কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশস্থল পরিদর্শন শেষে অভিযোগ করেন, বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ পণ্ড করতে ১ ডিসেম্বর থেকে পরিবহন ধর্মঘট দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া মিথ্যা মামলায় এক হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি সমাবেশস্থলে আসতে বাধা দেয়া হচ্ছে। এরপরও নেতাকর্মীদের পদচারণায় মাদরাসা মাঠ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হবে বলে আশাবাদী বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু।
এদিকে রাজশাহী রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন অভিযোগ করে বলেছেন - রাজশাহী মহানগরসহ সমগ্র নগরী তথা জেলাতেও থানা ও উপজেলা পর্যায় থেকে নেতা কর্মীদের আসতে বাধা দেয়া হচ্ছে তারা প্রতিনিয়ত বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। আমরা অগন্তান্ত্রিক সরকারের কাছে এমনটা ব্যাতীত অন্য কিছু আশা করিনা।
তবে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ সামনে রেখে পরিবহন ধর্মঘট ডাক দেয়ার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মাতিউল হক টিটু। তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়ক বা আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার (নছিমন, করিমন, ভটভটি, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ইত্যাদি) চলাচল বন্ধ, জ্বালানি তেল ও যন্ত্রাংশের মূল্য হ্রাসসহ ১০ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। বিএনপির গণসমাবেশের সঙ্গে পরিবহন ধর্মঘটের কোনো সম্পর্ক নেই।
আর দলটি বিভাগীয় গণসমাবেশ ঘিরে কোনো সহিংসতার চেষ্টা করলে রাজনৈতিকভাবে তা প্রতিহতের ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি বলেন, গণসমাবেশের নামে কোনো অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করলে রাজপথে তা প্রতিহত করা হবে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক জানান, বিএনপির গণসমাবেশ উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
[embed]https:\/\/preview-xupnewsc.uttorbongoprotidin.com//preview-xupnewsc.uttorbongoprotidin.com//m.youtube.com/watch?v=yGb73JfZYRw[/embed]
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com