প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪, ৬:১২ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৪, ৭:৫৫ অপরাহ্ণ
রাজশাহীতে জানুয়ারি মাসে ১০ নারী-শিশু নির্যাতনের শিকার
ষ্টাফ রিপোর্টার | উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন || রাজশাহীতে জানুয়ারি মাসে ১০ নারী-শিশু নির্যাতিত হয়েছে। রাজশাহীর উন্নয়ন সংস্থা লেডিস অর্গানাইজেশন ফর সোসাল ওয়েলফেয়ারের (লফস) এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সংগঠনটি রাজশাহী জেলায় দীর্ঘদিন ধরে নারী ও শিশুর উন্নয়নে কাজ করছে। মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে লফস সংস্থার ডকুমেন্টেশন সেল থেকে রাজশাহীর প্রচারিত দৈনিক পত্রিকার সংবাদের ভিত্তিতে নিয়মিত নারী ও শিশু নির্যাতনের পরিস্থিতি প্রকাশ করে। লফস মনে করে এ অঞ্চলে নারী ও শিশু নির্যাতন পরিস্থিতি বিভিন্ন মাত্রায় অবনতি ঘটছে। যৌতুক ও পরকীয়ার কারণে অধিকাংশ নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রে বিদেশি কিছু টিভি সিরিয়াল পরকীয়াকে উৎসাহিত করছে। এছাড়া পারিবারিক কলহ ও প্রেমঘটিত কারণে হত্যা-আত্মহত্যা ও অমানবিক নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটছে। বিষয়গুলো কারও জন্য সুখকর নয়।
জানুয়ারি মাসে বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নে রুপজান বেওয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় ছেলেরা, রাজশাহী নগরীতে এক নারী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, নগরীতে হয়রানির শিকার মা আঙ্গুরা ও মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস, নগরীতে এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার, বাগমারায় ঝর্ণা খাতুন নামে এক নারীকে হত্যা করার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে, দুর্গাপুরে এক নারী স্বামী দ্বারা নির্যাতনের শিকার, বাঘা উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের আলোকনগর গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে মারপিট করে আহত, বাঘায় ১০ম শ্রেণির ছাত্রী মিথিলা খাতুনের আত্মহত্যা, বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নে ফাহিম মোস্তাসির প্রান্ত নামে এক ছাত্রকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ- ঘটনাগুলো সকলের জন্য উদ্বেগজনক।
লফস’র নির্বাহী পরিচালক শাহানাজ পারভীন বলেন সংবাদ পত্রে প্রকাশিত ঘটনার বাইরেও অনেক ঘটনা ঘটে যা প্রকাশিত হয় না বা কোন তথ্য জানা যায় না এমন বাস্তবতায়। রাজশাহীতে নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রকাশিত তথ্য হতাশাজনক। রাজশাহী অঞ্চলে নারী শিশু নির্যাতনসহ সার্বিক ঘটনাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
নির্বাহী পরিচালক শাহানাজ পারভীন বলেন অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে ক্রমশই অপরাধীরা উৎসাহিত হবে এবং অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। লফস সকল নারী-শিশু নির্যাতন ঘটনাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত স্বাপেক্ষে অপরাধীর কঠোর শাস্তির দাবি জানান
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন Google Business And Google News Verified একটি প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালে উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন উইকিপিডিয়ার নিবন্ধনভুক্ত হয়।২০২১ সালে উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন Trusted Site Certificate এবং DMCA সার্টিফিকেট পায়।