[caption id="attachment_44322" align="alignleft" width="500"] জনসাধারণের মাঝে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন[/caption]
সেই ধারাবাহিকতায় শিক্ষা ও সবুজ নগরীর নগর পিতা এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনও বিশেষ একজন মানুষ। সেই সাথে একজন মানুষের ‘বিশেষ’ হয়ে ওঠা সহজ ব্যাপার নয়। অথচ এই কঠিনতর বিষয়কে তিনি সহজবোধ্য করেছেন নিজের কর্মগুণে।গণমানুষের চোখের মণি হয়ে উঠতে পেরেছেন তিনি।
বাবার মতই দেশ ও মানুষের প্রয়োজনে তিনি নিজেকে তৈরি করেছেন। সেই সাথে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন রাজশাহী তথা রাজশাহীর আপামর জনতার সার্বিক উন্নয়নে। এই বিশেষ মানুষকে নানা বিশেষণে উপস্থাপন করা যায়।
এদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের প্রেসিডিয়ামের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।তিনি জাতীয় ৪ নেতার অন্যতম নেতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সন্তান।
[caption id="attachment_44324" align="alignleft" width="750"] উন্নয়নের কার্যক্রম পরিদর্শনে মেয়র লিটন [/caption]
গত ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহীর সভায় দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নাম সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন।
মেয়র লিটনের বাবা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং যুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র, কৃষি এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
পারিবারিকভাবে ৬ ভাই-বোনের মধ্যে লিটন চতুর্থ এবং ভাইদের মধ্যে সবচেয়ে বড়। বংশগত পরম্পরায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করেন লিটনসহ তাঁর পুরো পরিবার।
[caption id="attachment_44325" align="alignleft" width="750"] সাধারণ মানুষের মাঝে থাকা একজন নিরহংকার মেয়র[/caption]
রাজশাহীকে বদলে দেয়ার অঙ্গীকার নিয়ে ইতোমধ্যেই স্বপ্নের ফেরীওয়ালা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ১ দশকে বদলে দিয়েছেন শিক্ষা ও সবুজ নগরী খ্যাত রাজশাহীকেই।
বিধায়, এই রুপকার লিটনকে রাজশাহী অঞ্চল তথা উত্তরবঙ্গের অবিসংবাদিত নেতা বললেই চলে। তাঁর নেতৃত্বের হাত ধরেই রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মতৎপরতা উত্তোরতর বৃদ্ধি পায় উত্তোরত্তর।
মেয়র লিটন তার এক বক্তব্যে বলেছিলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের সাথে সাথে রাজশাহীর উন্নয়নে জন্য তাঁর বাবা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান ব্যাপক পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্য নিয়েই কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু কারাগারে এই জাতীয় নেতার হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়েই রাজশাহীর সকল উন্নয়ন স্থবির হয়ে যায়।
২০০৮ সালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পরপরেই খায়রুজ্জামান লিটন ২০১৩ সাল পর্যন্ত উক্ত পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। শুধু তাই নয়,
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হিসেবে যে সকল এজেন্ডা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার মেয়র করেছিলেন তার শতভাগই পূরন করেছেন এই মেয়র। তাই তো তাকে উত্তরবঙ্গের একমাত্র সফল মেয়র হিসেবেও পরিগনিত করা হয়।
[caption id="attachment_44323" align="alignleft" width="750"] সহধর্মিণীকে নিয়ে সামাজিক কর্মকান্ডে মেয়র লিটন[/caption]
পরবর্তীতে ২০১৮ সালে পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পরপরেই অসম্পন্ন কাজগুলোকে পুর্নাঙ্গ করার প্রক্রিয়া শুরু করেন।
আরোও উল্লেখ্য যে, ওয়ান ইলেভেনের পরে ২০০৮ সালে লিটন যখন মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন তখন কোটি টাকার বেশি ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে তাকে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়।
সুতরাং বলাই যায়, সেই উন্নয়নের নজির আজও রাজশাহীবাসী ভুলতে পারেনি। প্রতি মূহুর্তেই এই সফল মেয়রের উন্নয়নের ভাবনা ছিল বহুমাত্রিক।
একজন মেয়রের গতানুগতিক কাজের বাইরেও রাজশাহীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য সকল ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত কাজ করার চেষ্টা করে চলেছেন তিনি ।
এবার এক নজরে দেখে নেয়া যাক গত ১ দশকে রাজশাহীর উন্নয়নে এই স্বপ্নদ্রষ্টার কি কি ভূমিকা ছিল
🟥 রাজশাহীতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ।
🟥 ১২শ কোটি টাকা ব্যয়ে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়।
🟥 নতুন ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতাল ও শিশু হাসপাতাল।
🟥 হাইটেক পার্ক নির্মান।
🟥 রাজশাহীর বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই কর্পোরেশনের আওতায় আনায়ন।
🟥 নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও জাতীয়করণ করন।
🟥 বৃক্ষরোপণ।
🟥রাজশাহীর ঐতিহ্য পূর্ণ জনপ্রিয় স্থান শাহমখদুম কেন্দ্রীয় ঈদগাহকে সংস্করন ও সম্প্রসারন।
🟥 অন্যান্য ঈদগাহের উন্নয়নসহ শহরের মসজিদ নির্মাণ, মাদ্রাসা, শ্মশানসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমূহের উন্নয়ন।
🟥রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধের উন্নয়ন।
🟥পূর্ণাঙ্গ টিভি কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ।
🟥 নভো থিয়েটার নির্মান।
🟥ওয়াসা ও ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন।
🟥 বিকেএসপি, খেলা ধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চা প্রসারের উদ্যোগ গ্রহণ,
🟥 বন্ধ হয়ে যাওয়া বিমান বন্দর চালু করন।
🟥আধুনিক শপিংমল সহ শহরের বিভিন্ন স্থানে বাজারের কাঠামো সংস্কার ও নির্মান।
🟥 শহর রক্ষা বাঁধের বুলনপুর হতে মিজানের মোড় পর্যন্ত ১২ কি.মি. পাকা রাস্তা নির্মাণ।
🟥আলিফ-লাম-মিম ভাটা থেকে চৌদ্দপাই পর্যন্ত ৪ লেন বিশিষ্ট ফ্লাই ওভার নির্মাণ।
🟥মহানগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রশস্ত করণ ও ফুটপাতে রঙ্গিন টাইলস দিয়ে নির্মাণ।
🟥 শহর রক্ষা বাঁধের পার্শ্বে বিনোদনের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন,
🟥রাজশাহী টু ঢাকা নৈশ কালীন ট্রেন চালু।
🟥 রাত্রিকালীন বর্জ্য অপসারণ ও শহর পরিষ্কারকরণসহ রাজশাহী শহরের বহু তল ভবনের নির্মাণ উদ্যোগ প্রথম তিনিই গ্রহণ করেছিলেন।
🟥 আবাসন খাতে ব্যাপক বিনিয়োগের ক্ষেত্র তৈরী করনসহ ব্যবসা বাণিজ্যের সম্প্রসারন।
'চলো আবারো বদলে দেই রাজশাহী" স্লোগানে রাসিক মেয়রের সহধর্মিণী এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি শাহিন আকতার রেণীও অংশগ্রহন করেন। এদিকে বাবার উন্নয়নের সহযাত্রী হিসেবে জ্যেষ্ঠ কন্যা ডা: আনিকা ফারিয়া জামান অর্ণাও রাজনীতিতে চলে আসেন।
বলা বাহুল্য অর্ণা জামান পরিশ্রমী এবং মেধাবী নেত্রী হিসেবে ইতিমধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি। এছাড়া মেয়র লিটনের সহধর্মিণী শাহিন আকতার রেণীও রাজশাহী আওয়ামীলগকে চাঙ্গা করতে বিন্দুমাত্র পিছুপা হননি।
নজরুলের কবিতার ভাষায়, বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
সেই ধারাবাহিকতায় একজন জাতীয় নেতার পুত্রবধূ এবং একজন মেয়রের সুযোগ্য সহধর্মিণী হিসেবে শাহিন আকতার রেণীও সর্বক্ষেত্রে অবস্মরনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
বিশেষত করোনার ক্লান্তিকালে মেয়র লিটনসহ তাঁর সহধর্মিণী রেনী এবং কন্যা অর্না জামান যে ভূমিকা পালন করেছেন তা রাজশাহীসহ সমগ্র উত্তরবঙ্গের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। এই পরিবারটি সকল সদস্যই করোনার সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন। কেননা রাজশাহীতে করোনার থাবা আঘাত আনার পূর্বেই রাসিকের পক্ষ থেকে ২৪ ঘন্টা চিকিৎসা সেবা চালু করা হয়।এছাড়াও মেয়র তার ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।একই ভাবে কন্যা অর্না জামানও পিছিয়ে থাকেননি।সর্বস্ব দিয়ে সহযোগীতা করেছেন রাজশাহীর আপামর জনগনকে। এ যেন গনতন্ত্র ও নেতৃত্বের অপরুপ এক
মেলবন্ধন।
অন্যদিকে,মেয়র কন্যা অর্ণা জামান শুধুমাত্র একজন চিকিৎসক হয়েই ক্ষান্ত হননি বরং একজন সফল রাজনীতিবীদ হওয়ারও স্বপ্ন দেখেন।
আধুনিক রাজশাহীর এই রূপকার স্বপ্ন দেখেন রাজশাহী মহানগরী সংলগ্ন পদ্মার বালুর চরে লুকিয়ে আছে সম্ভাবনার নতুন ক্ষেত্র। এখানে গড়ে উঠতে পারে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় একটি আধুনিক রিভার সিটি, যা খুলে দেবে কর্মসংস্থান আর ব্যবসা-বাণিজ্যর নতুন দুয়ার।
বিসিক শিল্পনগরী-২ প্রকল্পকে ঘিরে শিল্পবিহীন রাজশাহীতে শিল্পায়নের নতুন সম্ভাবনা দেখছেন পিছিয়ে পড়া এ অঞ্চলের মানুষ। ১৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এ প্রকল্পটির কাজ শেষের পথে। প্রকল্পটি চালু হলে রাজশাহীতে নতুন ২৯৬টি শিল্পকারখানা স্থাপনসহ প্রায় ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শিক্ষানগরী হিসাবে খ্যাত রাজশাহীতে স্বাধীনতার ৫০ বছরেও গড়ে ওঠেনি কাঙ্ক্ষিত শিল্পকারখানা। স্বাধীনতার পর জুট, টেক্সটাইল ও চিনি শিল্পকারখানা স্থাপিত হলেও সেগুলো এখন নিভু নিভু করছে। রাষ্ট্রায়ত্ত এসব শিল্পকারখানা এখন প্রায় রুগ্ণ। এ অঞ্চলের মানুষ যে হারে শিক্ষিত হচ্ছে সেই হারে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে না। কর্মের খোঁজে ছুটতে হয় রাজধানী ঢাকায়। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহীতে শিল্পকারখানা গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন অনেক দিন ধরেই।
রাজশাহী বিসিক-২ প্রকল্পটিও তারই তৎপরতায় গতি পেয়েছে। গত বছর ৪ জুলাই এ প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন তিনি। প্রকল্পটি চালু হলে রাজশাহী অঞ্চল শিল্পায়নের পথে কিছুটা হলেও এগোবে বলে মনে করেন রাসিক মেয়র লিটন ।
এদিকে আগামী ২ বছরের মধ্যেই
রাজশাহী মহানগরীর উন্নয়নে আরও ২ থেকে ৩ হাজার কোটি টাকার উয়ন্নন প্রকল্প আসছে বলে জানিয়েছে রাসিক সূত্র।
এছাড়াও ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটির আওতায় রাজশাহী মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ প্রশস্তকরণ ছাড়াও ৩০টি ওয়ার্ডের অলি-গলির সব রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণসহ নানাবিধি অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ সমাপ্তির পথে।
এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে নিজের বলে কখনই দাবি করেননা এই স্বপ্নের রুপকার। তিনি এই জয়কে - রাজশাহীর আপামর জনসাধারনের জয় বলে মনে করেন।
[caption id="attachment_44387" align="alignleft" width="700"] উজ্জিবিত রাজশাহীর কিংবদন্তী সৃজনশীল রুপকার মেয়র লিটন[/caption]
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com